Bangladesh
Appeal on Grenade attack will be made on immediacy
ভয়াবহ এ গ্রেনেড হামলার ঘটনার মামলার আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টে অপেক্ষমাণ রয়েছে। মামলার পেপারবুক তৈরির কাজ শেষে গত ১৬ আগস্ট সরকারি ছাপাখানা বিজি প্রেস হতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়।
এখন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নির্ধারণ করে দেয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হবে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য এ রকম কোনো হত্যাকাণ্ড হয়নি। একই সঙ্গে, এ সংক্রান্ত মামলার শুনানি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আদালতের কাছে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে প্রার্থনা করা হবে।
মামলাটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঘটনা তো অনেক আগের। এ মামলার যাতে বিচার না হয়, আসল আসামিরা যাতে ধরা না পড়ে, সেজন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছিল। কাজেই মামলার শুনানি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হবে-এটা আমরা মনে করি এবং সে ব্যাপারে আদালতের কাছে প্রার্থনা করব।’ তিনি বলেন, ‘প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান মৃত্যুর আগেও আফসোস করে বলেছেন, আমি কি বিচার দেখে যেতে পারব না। এ ঘটনায় ওনার স্ত্রীও মারা গেছেন। রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য যে আক্রমণ এটা তা সাধারণভাবে একটা শিশুরও বুঝতে অসুবিধা হয় না।’
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, ‘আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাব শুনানির জন্য। আর আসামিদের সাজা যাতে বহাল থাকে সে বিষয়ে সাক্ষীর জবানবন্দি এবং সব ডকুমেন্ট উপস্থাপন করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা এটা। এখানে মিটিংয়ের মধ্যে বোমা মেরে মানুষ এবং রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করা হয়েছে। ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর চেষ্টা ছিল এটি।’
পলাতক আসামিদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারেক জিয়া, কায়কোবাদরা হলেন ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড। আপিল শুনানির আগে তারেক জিয়ার সাজা বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’ এছাড়া পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনারও চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।