Bangladesh
Asha Rani don't want to leave behind 65 years memory
তখন নদী কত দূরে ছিলো তা তার মনে নেই।
তবে লোক মুখে শুনেছেন ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে পদ্মার অবস্থান ছিলো। এখন সেই পদ্মাই তাদের সব গ্রাস করে নিচ্ছে।
দুই সন্তানের ঔষধের দোকান, বসত বাড়ির জায়গা বিলীন হয়েছে। নদী বাড়ির উঠান পৌঁছলেও আশা রানী ৬৫ বছরের স্মৃতি জড়িত বাড়ি ছেঁড়ে যেতে চান না।
বারবার ছুটে যান বাড়ির উঠানের এক কোনে থাকা স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ির সমাধিস্থলে।
শনিবার সকালে আশা রানী শশ্মানে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করে চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, ‘আমারও এই শশ্মানে জায়গা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পদ্মা নদী সেই আশা পুরণ হতে দিলো না। স্বামী-শ্বশুরসহ পরিবারের নয় জনকে এই শশ্মানে সমাধিস্থ করা হয়েছে।
৬৫ বছরের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ ভালোবাসা মিশে আছে এই বাড়িতে। চোখের সামনে সব স্মৃতি মুছে যাচ্ছে।
বসত ঘরটি ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে, তারপরও কোথায়ও যাচ্ছি না। যদি নদী ভাঙন থেমে যায়।
কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডেও সাবেক মেম্বার কার্তিক চন্দ্র ঢালী জানান, কেদারপুর ইউনিয়নে অর্ধশত বছরের পুরনো মন্দির ছিলো রাম ঠাকুর সেবা মন্দির। গত ৮ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে সেই মন্দিরটি নদীগর্ভে চলে গেছে।
তিনি সেই মন্দিরের সার্বিক দেখাশুনা করতেন। এছাড়া ওই এলাকার একাধিক সমাধিস্থল নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।