Bangladesh
Awami League leader murder: Death sentence for two after 18 years
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ : নাটোরের বড়াইগ্রামে আলোচিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. আয়নাল হক তালুকদার হত্যা মামলার রায় ১৮ বছর পর ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে দু’জনের ফাঁসি ও প্রত্যেকের দশ হাজার এক টাকা করে জরিমানা এবং বাকি ১১ জনকে খালাসের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
নাটোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক সোমবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, বনপাড়া পৌর এলাকার মহিষভাঙ্গা গ্রামের বাহার উদ্দিন মোল্লার ছেলে মো. তোরাব এবং পলান মোল্লার ছেলে শামিম।
নাটোর জজ কোর্টের পিপি সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০০২ সালের ২৮ মার্চ তৎকালীন উপজেলা বিএনএপির সভাপতি একরামুল আলমের নেতৃত্বে সাহের উদ্দিনসহ একদল বিএনপি নেতাকর্মী বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া বাজারে ডা. আয়নাল হক তালুকদারের চেম্বারে হামলা করেন। এ সময় বর্ষিয়ান এই নেতাকে টেনে হেঁচড়ে চেম্বার থেকে বের করে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত করেন।
আয়নাল হকের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৩১ মার্চ আয়নাল হকের পুত্রবধূ বর্তমান পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে চার্জশিট প্রদানের পর মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। অবশেষে ১৮ বছর পর আজ এই মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।
মামলার রায়ে বলা হয়, মূল অভিযুক্ত জেলা বিএনপির সভপাতি একরামুল আলম এবং সাহের উদ্দিনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আয়নাল হক তালুকদারের মৃত্যু হয়। কিন্তু এই দুইজনসহ মামলায় অভিযুক্ত জিয়াউল হক সেন্টু এবং আলিমুদ্দিন মৃত্যুবরণ করায় তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।