Bangladesh

Bangabandhu killing: There were conspirators within the team, says PM Hasina
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে

Bangabandhu killing: There were conspirators within the team, says PM Hasina

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 24 Aug 2020, 12:41 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৪ আগস্ট ২০২০ : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু যখন দেশের শাসনভার গ্রহণ করেন তখন প্রয়োজন ছিল একাট্টা হয়ে তার পাশে দাঁড়ানো। তাকে সহযোগিতা করা। কিন্তু দুর্ভাগ্য কেউ সহযোগিতা করেনি বরং তাকে হত্যা করার প্রক্রিয়া শুরুর জন্য দেখা গেছে দলের অভ্যন্তরে নানা ধরনের খেলা।

তিনি বলেন, দেশের কিছু লোক যারা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন দালালি করত, পাশাপাশি জানা-অজানা কিছু লোক নানাভাবে সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে অপবাদ ছড়ানো হয়েছিল। রোববার (২৩ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট শুধু একটা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে তাই নয়। দেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যকে ধ্বংস করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বাঙালিরা যে পরাজিত করেছে এটা তারা মানতে পারেনি। বাঙালি জাতির বিজয়কে তারা মানতে পারেনি। ষড়যন্ত্র চলছিল তখন থেকেই। আমাদের দেশের ভেতরেও অনেকে মানতে পারেনি। জাতির পিতাকে হত্যা করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল।

 

একটা ইন্টারভিউয়ের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেই ইন্টারভিউ যদি আপনারা দেখেন, যখন তাকে (বঙ্গবন্ধু) গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় তখন পেছন থেকে বন্দুকের বাট দিয়ে বারবার আঘাত করা হয়েছিল। এরপর তাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে সেখানে তার বিচার হয় এবং ফাঁসির রায় দেয়া হয়। বাঙালিরা বিজয় অর্জন এবং বাংলাদেশে পাকিস্তানের প্রায় ৯৫ হাজার সৈনিক বন্দি হওয়ায়  ইয়াহিয়ার পতন ঘটে এবং ভুট্টো ক্ষমতায় যায়।

 

তিনি বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে এবং ভারতবাসীকে যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। যে সব দেশ বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চেয়ে বক্তৃতা বিবৃতি দিয়েছে তাদেরও ধন্যবাদ। এভাবে যখন বিশ্বব্যাপী একটি জনমত সৃষ্টি হয় তখন তারা বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয়। এরপর তিনি দেশে ফিরে আসেন। যখন তিনি ফিরে এসেছিলেন তখন ছিল একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। সেই দেশের শাসনভার হাতে নিয়েই তিনি যেভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছিলেন, সেই সময় প্রয়োজন ছিল দেশের সব মানুষ একাট্টা হয়ে তার পাশে দাঁড়ানো এবং সহযোগিতা করা। কিন্তু দুর্ভাগ্য এ সময় দলের অভ্যন্তরে নানা ধরনের খেলা শুরু হয়। যারা শেষ সময় বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে, তাদের লেখনি এবং কার্যকলাপ ছিল পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে অপবাদ ছড়ানো। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর যে জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা সেটা নষ্ট করা। কিন্তু জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা ঠেকাতে না পেরে তারা হত্যার পথ বেছে নেয়।