Bangladesh
Bangladesh Metro Rail: First trial held in Japanese factory
জাপানের কারখানায় এটি পরিচালনা করে দেখা হয়।
বুধবার রাতে মেট্রোরেল বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, ‘শতবর্ষের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাপানে বাংলাদেশের প্রথম উড়াল মেট্রোরেলের ফ্যাক্টরি ট্রায়াল রান (ঋধপঃড়ৎু ঞৎরধষ জঁহ) শুরু হয়েছে। ছয়টি কোচসম্বলিত মেট্রোরেলের স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি।
এতে জাতীয় পতাকার লাল-সবুজ রঙের প্রাধান্য রয়েছে। ট্রেনটির সর্বোচ্চ যাত্রী ধারণক্ষমতা দুই হাজার ৩০৮ জন। সব ধরনের ঋধপঃড়ৎু ঞবংঃ সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ১৫ জুন প্রথম মেট্রোরেলটি বাংলাদেশে পৌঁছার জন্য নির্ধারিত আছে।’
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মেট্রোরেল প্রকল্প উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম ধাপে দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু করা হবে। এ লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ চলমান। এরই অংশ হিসেবে দিয়াবাড়িতে নির্মিত হচ্ছে মেট্রোরেল এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টার। এতে মেট্রোরেলের ইতিহাস তুলে ধরা হবে। এখানেই মেট্রোরেলের এ মক বগিটি সংরক্ষণ করা হয়েছে।
মেট্রোরেল নির্মাণে অতি স্বল্প সুদে ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। সূত্র জানায়, রাজধানীর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে কার্যকর গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার দেশি-বিদেশি পরিবহন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড ঢাকা মহানগরীর জন্য এসটিপি প্রণয়ন করে।
এ এসটিপিতে অন্তর্ভুক্ত এমআরটি লাইন-৬ কে (দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্মাণের জন্য ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় পাস হয়। ২০১২ সালের জুলাইয়ে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি সাত লাখ ২১ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ের এ প্রকল্প ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।