Bangladesh

Bangladesh to get Canada's support in solving Rohingya crisis

Bangladesh to get Canada's support in solving Rohingya crisis

Bangladesh Live News | @@banglalivenews | 05 May 2018, 08:23 am
ঢাকা, মে ৫ঃ কানাডা সরকার শেখ হাসিনাকে জানিয়েছেন যে তারাও চান যে বিতাড়িত রোহিঙ্গা মানুষেরা যেন মিয়ানমারে ফিরে গিয়ে সেখানে নিরাপদে থাকতে পারে।

শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন  কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড।

 

সেই সময় রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে দুই নেত্রীর মধ্যে কথা হয়।

 

ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজকে এই সাক্ষাৎ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

 

ইসলামী সম্মেলন সংস্থা-ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দিতে কানাডার এই নেত্রী বাংলাদেশ এসেছেন।

 

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম  এই আলোচোনার বিষয় সাংবাদিকদের বলেন যে রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াবে কানাডা।

 

   সেদেশে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফেরত দেওয়ার বিষয়েও হাসিনা আহ্বান জানান  ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে।

 

অন্যদিকে, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের জন্য মিয়ানমারের উপরে চাপ বজায় রাখতে আজ আবার একবার মুসলিম দেশগুলোর কাছে সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

শনিবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইসলামী সম্মেলন সংস্থা-ওআইসি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে  হাসিনা নিজের বক্তব্য রাখাস্র সময় এই মন্তব্য করেছেন।

 

রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে ওআইসি সদস্যদের আহ্বান করেন হাসিনা।

 

উনি বলেনঃ "ওআইসিকে আমি দৃঢ়ভাবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।"

 

"ইসলামী সম্মেলন সংস্থাকে অবশ্যই মিয়ানমার সরকারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে হবে যাতে মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা অনুযায়ী তাদের অধিবাসী রোহিঙ্গাদের দেশে নিরাপদে ফেরত নিয়ে যায়," হাসিনা বলেন।

 

গত বছর মিয়ানমারের  রাখাইনে সেনা অভিযানের মুখে বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা মানুষেরা পালিয়ে আসেন ও আশ্রয় নেন।

 

বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারকে এই মানুষদের ফিরিয়ে নিতে আহ্বান করলেও ফল খুব একটা এখনপ পাওয়া যায়নি।

 

নিপীড়িত সাত লাখ রোহিঙ্গা  এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মাটিতে আশ্রয় নিয়েছেন।

 

হাসিনা বলেনঃ "আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহম্মদ (সঃ) নিপীড়িত মানবতার পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। কাজেই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠি যখন জাতিগত নির্মূলের মুখোমুখি, ওআইসি তখন নিশ্চুপ থাকতে পারে না।"

 

উনি বলেনঃ "নিপীড়িত মানবতার জন্য আমরা আমাদের চিত্ত ও সীমান্ত দুই-ই উন্মুক্ত করে দিয়েছি। মিয়ানমারের প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে সম্পূর্ণ মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের ব্যথায় ব্যথিত।”

 

মুসলমান সমাজ ও দেশের বিষয় কথা বলবার সময় উনি বলেনঃ "  “আমাদের ইসলামী বিশ্বের রূপকল্প এমন হতে হবে যাতে আমরা আমাদের সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করতে পারি। আমাদের নিজেরাই সকল দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সমাধান করতে পারি।"

 

হাসিনা আরও বলেনঃ "আমাদের সাম্প্রদায়িক মানসিকতা বর্জন করতে হবে এবং ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করা বা সমাজে বিভাজন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।"