Bangladesh

Biman Bangladesh says no to ferrying corpse for free Biman Bangladesh
Twitter Biman Bangladesh flight

Biman Bangladesh says no to ferrying corpse for free

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 25 Sep 2020, 12:45 am

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ : আগে প্রবাসে বাংলাদেশি কেউ মারা গেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিনা খরচে মরদেহ পরিবহন করে দেশে নিয়ে আসত। কিন্তু সম্প্রতি তা বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে বেশি টাকা দিয়ে পরিবারের খরচেই দেশে আনতে হচ্ছে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের মরদেহ। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রবাসীরা।

জানা গেছে, আগে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান প্রবাসীদের মরদেহ বিনা খরচে দেশে আনলেও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আপত্তি জানায়। চলতি বছরের শুরুতে এ নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠিও দেয় বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, ‘বিমান একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। তবু মানবিক বিষয়গুলোতে সবসময়ই অগ্রাধিকার দিয়ে বিমান প্রতি বছর শত শত প্রবাসী বাংলাদেশির মরদেহ বিনা ভাড়ায় পরিবহন করে থাকে। কিন্তু আর কতদিন বিমান এভাবে করবে? তাদের তো একটা খরচ আছে। ন্যূনতম খরচটা তো তাদের পেতে হবে।’

বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিনামূল্যে ৭৫০-৯০০ প্রবাসীর মরদেহ দেশে আনছে। এর মধ্যে অধিকাংশই সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী।

বিমানের একজন কর্মকর্তা জানান, সারাবছরই বিশ্বে বিভিন্ন সংকট লেগে থাকে। নানা ঘটনা-দুর্ঘটনায় প্রবাসী শ্রমিকরা মারা যান। গোটা বিশ্বের এভিয়েশন খাতে বিপর্যয়ের পরও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া প্রবাসীদের মরদেহ ফিরিয়ে আনে বিমান। যেহেতু প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ভাড়া পরিশোধের সুযোগ রয়েছে, তাই বিমান আর বিনামূল্যে মরদেহ বহন করছে না।

মধ্যপ্রাচ্য হয়ে বাংলাদেশে আসে এমন তিনটি বিদেশি এয়ারলাইন্সের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ থেকে একজন ব্যক্তির মরদেহের কফিন বহনের জন্য প্রতি কেজি ১৮ ডলার বা বাংলাদেশি ১৫৩০ টাকা নেয়। সেক্ষেত্রে মরদেহ ও কফিনের ওজন মিলে প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকার মতো ভাড়া নেয়া হয়।

তবে দীর্ঘদিন ধরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিনা খরচেই প্রবাসীদের মরদেহ বহন করে আসছিল। সংস্থার সংশ্লিষ্টরা জানান, কোভিড-১৯-এর কারণে বিমানের আয় উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় তারা বিনামূল্যে মরদেহ পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে।