Bangladesh

BUET trouble ends

BUET trouble ends

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 13 Oct 2019, 10:27 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, অক্টোবর ১৩ : শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবাসিক হলে অবৈধভাবে থাকা শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগ এবং ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবি মেনে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

 একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত নোটিশও জারি করা হয়েছে। বুয়েট কর্তৃপক্ষ স্বাক্ষরিত পৃথক পাঁচটি আদেশ শনিবার দুপুরে প্রকাশ করা হয়। বিকেলে এই আদেশ কার্যকর করার তৎপরতা শুরু হয়। এর মধ্য দিয়ে মেধাবি শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে বুয়েটে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল তার অবসান ঘটলো।


শনিবার বিকেলে হলে হলে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি হলের তিনটি কক্ষ সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া অবৈধ ও বহিরাগতদের হল ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার দুপুরের মধ্যে হল ছেড়ে না গেলে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হবে।


উচ্ছেদ অভিযানের পরই শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দেলন শিথিল করে। তারা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ১৩ ও ১৪ অক্টোবর দু’দিন আন্দোলন শিথিলের ঘোষণা দেন। শনিবার দুপুর আড়াইটায় বুয়েট শহীদ মিনার চত্বরে সাংবাদিকদের সামনে তারা এ ঘোষণা দেন।


আন্দোলনকারীরা বলেন, আমাদের ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন চলছে, তবে সারাদেশ থেকে আগত বুয়েটে ভর্তিপ্রত্যাশী ১২ হাজার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কথা চিন্তা করে আমরা দুদিন আন্দোলন শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারা বলেন, ইতোমধ্যে বুয়েট প্রশাসন আমাদের পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এবং সেসব বাস্তবায়নের কার্যক্রম শুরু করেছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে আমরা আগামী দুদিন আন্দোলন শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই দুদিন আন্দোলন স্থগিত রেখে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার অঙ্গীকার করছি।


শিক্ষার্থীরা বলেন, এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের দাবি দেওয়া বাস্তবায়নে তিন দফায় আশ্বাস দিলেও সেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি। আমরা এবার শিক্ষকদের প্রতি যে আস্থা রাখছি তারা আমাদের সে আস্থা রাখবেন বলে আশা করি। আমাদের এই আস্থা নষ্ট করলে সহজেই আর তা স্থাপন হবে না।


এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ধন্যবাদ জানান বুয়েট শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী আমাদের পাশে ছিলেন। তিনি পাশে না থাকলে এত দ্রুত সময়ের মধ্যে বুয়েট প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো মেনে নিত না।


শনিবার বিকেলে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ৩০১২ নম্বর কক্ষটি সিলগালা করে দেয়া হয়। বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল কক্ষটিতে থাকতেন। তিনি আবরার হত্যা মামলার প্রধান আসামী।


ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।


ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্।