Bangladesh

By 2030, all secondary schools will be digital academies: PM Hasina Digital Academy
PID PM Sheikh Hasina

By 2030, all secondary schools will be digital academies: PM Hasina

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 25 Sep 2020, 12:24 am

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে ডিজিটাল সহযোগিতায় বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্বের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের অপেক্ষায় রয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু আমরা বাংলাদেশকে ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, কাজেই আমরা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে এই রূপান্তরিত যাত্রার কেন্দ্রে রাখতে চাই।’ তিনি বলেন, তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে সৃষ্ট উদীয়মান চাকরির বাজার বিবেচনা করে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে ডিজিটাল একাডেমি এবং সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে চান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবা নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের সাইডলাইনে ‘ডিজিটাল সহযোগিতা: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অ্যাকশন টুডে’ শীর্ষক একটি উচ্চপর্যায়ের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

পূর্বে ধারণকৃত ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, কোভিড-১৯ মহামারি ডিজিটাল পরিষেবার শক্তিকে উন্মোচিত করেছে এবং ডিজিটাল বিভাজনকেও প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যারই ন্যূনতম ইন্টারনেট প্রবেশগম্যতা নেই। সে শূন্যতা পূরণ করতে হবে।’

বাংলাদেশে তার সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প নির্ধারণ করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনাবলেন, ডিজিটালাইজেশনের জন্য সরকারের চাপের কারণেই বাংলাদেশ ইন্টরনেট প্রযুক্তিতে একটি ব্যাপক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছে।

তিনি বলেন, দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০৩ দশমিক ৪৮ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ডিজিটালাইজেশন জনগণকে পরিবর্তন-নির্মাতা হওয়ার বিশাল সুযোগ এনে দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডিজিটাল কানেক্টিভিটির ওপর আমাদের আলোকপাত অর্থনৈতিক বিকাশকে সহজতর করেছে এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ সামাজিক পরিবর্তনকে অনুঘটক করেছে। এটি এসডিজিগুলোকে বাস্তবায়ন এবং কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করছে।’

রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামি, সিংটেলের সিইও চুয়া সুক কেওং, ডব্লিইডব্লিইডব্লিইর প্রতিষ্ঠাতা টিম বার্নার্স লি এবং কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জেফরি স্যাশেন প্যানেল আলোচক হিসেবে সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনেরিয়েটা ফোর এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিউ) মহাসচিব হলিন ঝাওয়ের যৌথ আমন্ত্রণে এই ইভেন্টে যোগ দেন।