Bangladesh
Chittagong: Long march on October 8 demanding 3-day public holiday during Durga Puja
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ : দুর্গাপূজায় তিন দিনের সরকারি ছুটির দাবিতে চট্টগ্রামের সচেতন হিন্দু সমাজের বিক্ষোভ সমাবেশ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় তিন দিনের সরকারি ছুটির দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রামের সচেতন হিন্দু সমাজ।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ১৫টিরও বেশি হিন্দু সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে তিন দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা দেয়ার দাবি জানানো হয়। দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন হিন্দু সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া আগামী ৮ অক্টোবর বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বর থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গণভবন অভিমুখে সত্যাগ্রহ পদযাত্রা (লংমার্চ) কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সংবিধানে সকল ধর্মের মানুষের জন্য সমান অধিকার ও সুযোগ-সুবিধার বিধান থাকা সত্বেও এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় সে সুযোগ-সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সারাবছর হিন্দু সম্প্রদায় এই উৎসবের দিকে চেয়ে থাকে। পরিবারের সবাই এই ধর্মীয় উৎসবেই একত্রিত হওয়ার জন্য উন্মুখ থাকে। অথচ শুধু পূজার শেষের দিন অর্থাৎ বিজয়া দশমীর দিন একদিন সরকারি ছুটি থাকায় হিন্দু সম্প্রদায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থাকে। সে কারণে সরকারের কাছে দুর্গাপূজায় তিন দিনের সরকারি ছুটি দাবি করা হয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন অজুহাতে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চলে আসছে। এতে তারা আতঙ্কগ্রস্ত। এ কারণে আসন্ন দুর্গাপূজায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করারও দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে। এর আগে দুর্গাপূজায় তিন দিনের ছুটির দাবিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সচেতন হিন্দু সমাজের আহ্বায়ক রিপম দাশ শেখর। টিটু শীল অর্পের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শৈবাল দাশ সুমন, পুলক খাস্তগীর, রুমকি সেনগুপ্ত, রমনা কালি মন্দিরের উপদেষ্টা মিলন শর্মা, অধ্যাপক বনগোপাল চৌধুরী, সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ প্রমূখ।
অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিল-জাগো হিন্দু পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, সনাতন, বিশ্ব সনাতন ঐক্য, শারদাঞ্জলি ফোরাম, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ, গোয়ালপাড়া লোকনাথ সেবা সংঘ, গীতামমৃতম সংঘ বাংলাদেশ, সনাতন মৈত্রী সংঘ, বাংলাদেশ সনাতনী সেবক সংঘ, বাংলাদেশ বৈদিক পরিষদ, বাংলাদেশ জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ, রাধা বিনোদ কেন্দ্রীয় পরিষদ, নবযুগ মা দুর্গা ফাউন্ডেশন, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি।