Bangladesh

আরাফতের পাচার করা টাকা ফেরত এল

আরাফতের পাচার করা টাকা ফেরত এল

| | 28 Aug 2013, 01:21 pm
ঢাকা, অগাস্ট ২৮ ঃ বি এন পি-র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের সিঙ্গাপুরে পাচার করা ৭।৪৩ কোটি টাকা(৯৫৬৩৮৭।৪০ ডলার) সম্প্রতি ফেরত এনেছে অ্যান্টি কোরাপশন কমিশন (এ সি সি)।

 অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গতকাল একটি অনুষ্ঠানে ওই অঙ্কের একটি প্রতীকী চেক এ সি সি-র চেয়ারম্যান এম বদিউজ্জামানের হাতে তুলে দেন।

 
দুর্নীতি বিরোধী কাজে ব্যবহার করতে হবে, এই শর্তে সিঙ্গাপুর সরকার পাচার করা অর্থ বাংলাদেশকে ফেরত দিয়েছেন বলে মাহবুবে আলম জানান।
 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা আইন, বিচার এবং সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, সময় এসেছে দুর্নীতিকে \'না\' করার। তিনি দাবি করেন, দুর্নীতি দমনে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
 
এ সি সি চেয়ারম্যান বলেন, ১৮ই অগাস্ট কমিশনের কাছে আরাফতের পাচার করা অর্থের দ্বিতীয় কিস্তি ফেরত এসেছে।
 
সোনালি ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কমিশনের কাছে টাকা ফেরত আসে। এর আগে, গত বছরের ২২শে নভেম্বর ওই একই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কমিশন টাকা ফেরত এনেছিল।
 
আরাফতের পাচার করা ১৩।৫ কোটি টাকা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করার জন্য গত বছরের জুলাই মাসে কমিশন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ফেরদৌস আহমেদ খানকে ১।৩ কোটি টাকা পুরষ্কার দেয়।
 
সরকারি কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়ার বদলে   জর্মন বহুজাতিক ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি সিমেন্স এবং অন্যান্য জায়গা থেকে বেআইনিভাবে পাওয়া অর্থ পাচার করার দায়ে কমিশন ২০০৯ সালের ১৭ই মার্চ আরাফতের বিরুদ্ধে মামলা করে। 
মামলাটিতে নিউ মুরিং কন্টেনার টার্মিনাল প্রতিষ্ঠা করার জন্য  চায়না হারবার এঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে ৩৫১ কোটি টাকার বরাত পাইয়ে দেওয়া এবং সরকারি মোবাইল পরিষেবা সংস্থা টেলিটককে ২৩৯ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি সরবরাহ করার ব্যাপারে সিমেন্সের সঙ্গে আরাফতের লেনদেনের ব্যাপারগুলি কমিশন আনে।
 
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পুত্রকে দেওয়া আরও কয়েকজন লোকের টাকা সিঙ্গাপুরে আরাফতের পাঁচটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মধ্যে দু\'টিতে রাখা ছিল বলে কমিশন জানতে পেরেছে। আরাফতের চারটি অ্যাকাউন্ট ছিল ইউনাইটেড ওভারসিজ ব্যাংকে এবং অন্য একটি সি আই সি ব্যাংকে। 
 
প্রভাব খাটিয়ে আরাফত ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে এই সমস্ত টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেছেন বলে কমিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর মহম্মদ আবু সইদ কাফরুল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
 
কমিশনের অফিসাররা জানিয়েছেন মোট ১২।২৮ কোটি টাকা জেড এ এস জেড ট্রেডিং অ্যান্ড কনসাল্টিং পিটিই লিমিটেডের নামে ইউনাইটেড ওভারসিজ ব্যাংকের চ্যাঙ্গি সাউথ স্ট্রিট ব্রাঞ্চে জমা পড়েছিল।  আরাফত এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী লিম সেউ চ্যাং যৌথভাবে ওই কোম্পানির মালিক।
 
আদালত তার আদেশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সিঙ্গাপুর থেকে ওই অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে বলে। সিঙ্গাপুরের একটি আদালত ২০১১ সালের ২রা জানুয়ারি লিম সেউ চ্যাংকে আরাফতের অর্থ নিজের অ্যাকাউন্টে রাখার জন্য জরিমানা করে।