Bangladesh

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তাজউদ্দিনকে ফেরত আনা হবে
২১ আগস্ট গেনেড হামলায় লন্ডভন্ড বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। ইনসেটে মাওলানা তাজউদ্দীন (ফাইল ছবি)।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তাজউদ্দিনকে ফেরত আনা হবে

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 05 Sep 2020, 01:17 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ : ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকায় পালিয়ে থাকা মাওলানা তাজউদ্দিনকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে  হত্যা করার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও ২৪ জন নিহত হন। পরবর্তীতে মামলা হলে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ জনের মধ্যে একজন হলো মাওলানা তাজউদ্দিন। বর্তমানে সে দক্ষিণ আফ্রিকায় পলাতক রয়েছে।

 

আদালতের রায় বাস্তবায়ন করার জন্য তাজউদ্দিনকে দেশে  ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। এজন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তিও করা হয়েছে। গত অক্টোবরে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর বাংলাদেশের কেবিনেট অনুসমর্থন দিলেও দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার এখনও এ কাজটি করেনি। এ কারণে মাওলানা তাজউদ্দিনকে ফেরত আনার বিষয়টি আটকে আছে। 

 

মাওলানা তাজউদ্দিনকে বাংলাদেশে ফেরত আনার বিষয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা চলছে জানিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাব্বির আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার পর বিষয়টি নতুন করে গতি পাবে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘তবে দক্ষিণ আফ্রিকায় মৃত্যুদণ্ড নেই এবং সে কারণে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে তাদের অনীহা আছে এবং এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’

 

‘দক্ষিণ আফ্রিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া সহজ’, জানিয়ে রাষ্ট্রদূত সাব্বির আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘এর সুযোগ নিয়ে তাজউদ্দিন এখানে আবেদন করেছে। ২০০৮ সাল থেকে এখানে এশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা বেড়ে যায়।’ এরপর তাজউদ্দিন এখানে আবেদন করে বলে তিনি জানান।

 

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মাওলানা তাজউদ্দিন এখানে পাসপোর্ট পেয়েছে কিনা এ বিষয়ে আমাদের জানানো হয়নি। তবে সে এই দেশে অবস্থান করছে।’

 

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য বর্বরোচিত ও ভয়াবহ  গ্রেনেড হামলা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এ  মামলায় গতি আসে। নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। ঘটনার ১৪ বছর পর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর মামলার রায় হয়। আদালত এ মামলায় ৪৯ জন আসামির মধ্যে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। অপর ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল আবেদন উচ্চ আদালতে  ডেথ রেফারেন্সের শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।