Bangladesh

জিল্লুরের কুল খাওয়ানি শনিবার

জিল্লুরের কুল খাওয়ানি শনিবার

| | 26 May 2013, 04:03 am
ঢাকা, মার্চ ২২: মরহুম রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের কুল খাওয়ানি শনিবার বৈতুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।

 "শনিবার আসর নামাজের পর কুল খাওয়ানি অনুষ্ঠিত হবে," জানান রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব এ কে এম নেসার উদ্দিন ভূঁইয়া।

 
বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি রহমানকে শুক্রবার অপরাহ্নে চিরশয়নে শায়িত করা হয় বনানী কবরস্থানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় ও সামরিক সম্মানের সাথে।
 
রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান তাঁকে দুপুর ৩.৫২-তে তাঁর কবরে শায়িত করেন।
 
রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাঁকে ২১-তোপের সন্মান প্রদান করা হয়।
     
রহমানের পরিবারবর্গ, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এডভোকেট, মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবর্গ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, চিফ জাস্টিস, তিন সামরিক পরিষেবার প্রধান ও মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর মৃতদেহ সমাহিত করার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
 
রহমানকে দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ জাতীয় পতাকায় মোড়া কফিনে বনানী কবরস্থানে নিয়ে আসা হয়।
 
সেখানে হাজার হাজার মানুষের সামনে তাঁর জীবনকথা পড়ে শোনানো হয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার এক প্রথা অনুযায়ী।
 
মরহুম রাষ্ট্রপতির সন্মানে দু মিনিটের নীরবতা পালনের পর সবার প্রথমে রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এডভোকেট।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাঁর সামরিক সচিব রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
 
চিফ জাস্টিস এম মোজাম্মেল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবিএম তাজুল ইসলাম, তিন সামরিক বাহিনীর প্রধান ও মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবর্গসহ অনেকে রহমানের প্রতি তাঁদের শেষ শ্রদ্ধা অর্পণ করেন।
 
শুক্রবার সকালে ভৈরবে হাজী আসমত আলী কলেজ মাঠে রহমানের প্রথম নামাজ-এ-জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। 
 
পরে বৈতুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাতিব প্রফেসর মৌলনা সালাউদ্দিন আহমেদ রহমানের দ্বিতীয় নামাজ-এ-জানাজার নেতৃত্ব দেন ও তাঁর আত্মার শান্তির জন্য মুনাজাত করেন।
 
ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে রহমানের নামাজ-এ-জানাজায় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এডভোকেট, মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবর্গ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন।   
 
দুপুর দুটো দশ নাগাদ রহমানের দেহ শেষবারের মত তাঁর সরকারি নিবাস বঙ্গভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। 
 
তারপরে, রহমানের দেহ গুলশনে তাঁর বাসস্থান আইভি টাওয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে  বনানী কবরস্থানের দিকে শেষজাত্রা শুরু হয়।
 
 সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে বুধবার ৮৪ বর্ষীয় রহমানের মৃত্যু হয়। 
 
রহমানের মরদেহ বৃহস্পতিবার মধ্যাহ্নে ঢাকায় এসে পৌঁছয়।
 
বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে রাষ্ট্রপতির দেহ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় দুপুর বারোটা দশ নাগাদ।
 
শয়ে শয়ে মানুষ এয়ারপোর্ট রোডের দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকে রহমানকে তাদের শেষ শ্রদ্ধার্পন করতে যখন রাষ্ট্রপতিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বঙ্গভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।