Bangladesh

Dhaka University's evening course to close
Amirul Momenin

Dhaka University's evening course to close

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 25 Feb 2020, 06:58 am
ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২৫ : নানা যুক্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্যিক সান্ধ্যকোর্স বন্ধ না করতে উঠেপড়ে লেগেছেন দেশের সর্বোচ্চ এ বিদ্যাপীঠের শিক্ষকরা। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় যেন সান্ধ্যকোর্স বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়া হয় সেজন্য দফায় দফায় ঘরোয়া বৈঠক করেছেন তারা।

এমনকি সান্ধ্যকোর্স চালিয়ে যাওয়ার যুক্তি দেখিয়ে তারা উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভাকে ঘিরে সান্ধ্যকোর্সের সাথে জড়িত ‘বেশি লাভবান’ বনাম ‘কম লাভবান’ শিক্ষকরা দফায় দফায় যে বৈঠক করেছেন, সেখানে দরকষাকষির মাধ্যমে তারা সান্ধ্যকোর্স চালিয়ে যাওয়ার মত ব্যক্ত করেছেন। মতৈক্যের ভিত্তিতে তারা সান্ধ্যকোর্স চালু রাখার যৌক্তিকতা ও গুরুত্ব তুলে ধরবেন একাডেমিক কাউন্সিলের সভায়। পাশাপাশি বাণিজ্যিক সান্ধ্যকোর্স বন্ধ না করে এটিকে একটি বিশেষ নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সামনে প্রস্তাব তুলে ধরবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সান্ধ্যকোর্স চালু রয়েছে, সেখানকার শিক্ষক প্রতিনিধিরা রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স রুমে একটি ঘরোয়া সভা মিলিত হন। সভায় সান্ধ্যকোর্স নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা ও পর্যালোচনা করেন তারা। এতে দুই পক্ষের শিক্ষকরা সান্ধ্যকোর্স বন্ধ না করার পক্ষেই মত দেন। একইসঙ্গে এটিকে নীতিমালার আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সভা শেষে শিক্ষকরা উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন। এসময় তারা সান্ধ্যকোর্স বন্ধ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কী প্রভাব পড়বে তা-ও অবহিত করেন উপাচার্যকে। তারা সান্ধ্যকোর্স নিয়ে ‘হঠকারী’ কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এটি আরও পর্যালোচনার অনুরোধ জানান উপাচার্যকে।

জানা যায়, ওই সভায় বেশিরভাগ শিক্ষকই সান্ধ্যকোর্স বন্ধ করার বিপক্ষে মত দেন। তারা মনে করেন, সান্ধ্যকোর্সের টাকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বড় বড় কাজ হয়েছে। এছাড়া সান্ধ্যকোর্সে অংশ নেয়া বিভাগ ও ইনস্টিটিউটগুলো যারা অংশ নেয়নি তাদের চেয়ে বেশি উন্নত ও গতিশীল। আর সান্ধ্যকোর্সে নেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুম ও বিল্ডিংয়ের যথাযথ ও লাভজনক ব্যবহার হয়। এসময় কয়েকজন শিক্ষক কলাভবনের উদাহরণ টেনে বলেন, এই যে দেখেন কলাভবন দুপুর ২টার পর বন্ধ হয়ে যায়। এখানে কেউ থাকে না।

গত ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে বক্তৃতাকালে রাষ্ট্রপতি ও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য মো. আবদুল হামিদ সান্ধ্যকোর্সের বিষয়ে তার বিরক্তি প্রকাশ করেন। এসব কোর্সের কারণে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।

তার ওই বক্তব্যের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সান্ধ্যকোর্সের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু করে। কিন্তু এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক প্রতিষ্ঠানেই আবার এ ধরনের কোর্স চালিয়ে যাওয়ার তৎপরতা দেখা যাচ্ছে।