Bangladesh

Dhanmondi: Three arrested over killing of man and worker

Dhanmondi: Three arrested over killing of man and worker

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 02 Nov 2019, 01:01 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, নভেম্বর ২ : রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে শুক্রবার এক গৃহকত্রী ও তার গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহকত্রীর নাম আফরোজা বেগম (৬৫) ও গৃহকর্মীর নাম দিতি (২০)। শুক্রবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডি ২৮ নম্বর রোডের ২১ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাট থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ জানান, খবর পেয়ে ভবনের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। বিকেল চারটার পর এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে ধারণা করে তিনি আরো বলেন, মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হবে। হত্যাকান্ডের কারণ প্রসঙ্গে এখনই বিস্তারিত বলা সম্ভব না।


নিহত আফরোজা বেগম ক্রিয়েটিভ গ্রুপের ডেপুটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মনির উদ্দিন তারিমের শাশুড়ি। এ ঘটনায় কাজী মনির উদ্দিনের বডিগার্ড বাচ্চু এবং ভবনের ইলেকট্রিশিয়ান বেলায়েতকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধানমন্ডি রোড নং ২৮, বাড়ি নং ২১-এ অবস্থিত ভবনের নিরাপত্তাকর্মীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।


পুলিশ জানায়, ফ্ল্যাটটি বিজিএমইএ’র পরিচালক ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মনির উদ্দিনের। তিনি টিনটেক নামের একটি গার্মেন্টসের মালিক। ছয়তলা ভবনটির ৫ তলায় এফ-৪ ফ্ল্যাটে এই ঘটনা ঘটেছে। ফ্ল্যাটে মনির উদ্দিনের শাশুড়ি ও গৃহকর্মী থাকতেন। ভবনটিতে মনিরের মালিকানাধীন মোট চারটি ফ্ল্যাট আছে।


ঘটনার বিষয়ে ভবনের নিরাপত্তাকর্মী নূরুজ্জামান জানান, আটক বাচ্চু আফরোজার গ্রামের বাসিন্দা ও পূর্ব পরিচিত এবং মনিরের বডিগার্ড। সে এই বাড়িতেই থাকতো। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাচ্চু নতুন আরেক গৃহকর্মীকে নিয়ে বাসায় এসে আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে বাসা থেকে নেমে চলে যায়। এর ঠিক আধা ঘণ্টা পরে বাসা থেকে নেমে আসে নতুন ওই গৃহকর্মী। টাকা কম হওয়ায় সে কাজ করবে না বলে চলে যায়।


আফরোজা বেগমের ওপরের ফ্লোরে থাকেন তার মেয়ে দিলরুবা। বিকেলে মা ফোন না ধরায় তিনি তার গৃহকর্মী রিয়াজকে নিচে গিয়ে দেখে আসতে বলেন। রিয়াজ জানান, আফরোজা বেগমকে ফোনে না পেয়ে দিলরুবা তাকে পাঁচতলা থেকে চারতলায় গিয়ে দেখে আসতে বলেন। আমি গিয়ে দেখি, আফরোজা বেগম ফ্লোরে রক্ত মাখা অবস্থায় পড়ে আছেন। আমি দৌড়ে ওপরে গিয়ে বিষয়টি জানাই। তখন বাসার অপর গৃহকর্মী আপেল ও দিলরুবা ম্যাডাম চারতলায় আসেন।


এ বিষয়ে নিহত আফরোজা বেগমের জামাই ও ফ্ল্যাটের মালিক শিল্পপতি মনির উদ্দিন তারিম সাংবাদিকদের বলেন, হত্যাকান্ডের পর ফ্ল্যাটটি থেকে মোবাইল ও কিছু স্বর্ণালংকার খোয়া গেছে।