Bangladesh
Earthquake shakes parts of Bangladesh
আবহাওয়া অধিদফতরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৪৯৯ কিলোমিটার এবং সিলেট থেকে ৩২৯ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অরুণাচল প্রদেশের বমডিলা এলাকায়। এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ১৬.৮ কিলোমিটার গভীরে।
সূত্র জানায়, অরুণাচল সীমান্তবর্ুী বাংলাদেশের সিলেটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৩টা ২২ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ৪/৫ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল এ ভূমিকম্প।
সিলেট আবহাওয়া অধিদফতরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী নগরে ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভারতের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বাংলঅদেশের সিলেটের দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৩০০ কিলোমিটার।
তিনি আরও জানান, ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল সিলেট। এই অঞ্চলের আশপাশে কয়েকটি ফল্ট রয়েছে। যা ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে মৃদু ভূমিকম্পেই নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
সিলেট নগরের ঘাসিটুলা এলাকার বাসিন্দা শাহিদা জামান জানান, ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভবন কেঁপে ওঠে। সবাই আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৩৯ মিনিটে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। একই সঙ্গে ভূমিকম্প অনুভূত হয় ভারত ও মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলেও। ভূমিকম্পের ফলে কেঁপে ওঠে চট্টগ্রাম-বান্দরবানসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি জনপদ।
এছাড়া ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ৪ দশমিক ১ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল দেশের ভেতরেই। ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখে আবারও চট্টগ্রামসহ দেশের ছয় জেলা কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পে। সেসময় ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মিজোরাম। চট্টগ্রামে ৪ দশমিক ৭ রিখটার স্কেল মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়।
বুয়েটের গবেষকদের ভূমিকম্প ঝুঁকির মানচিত্রে দেখা যায়, বাংলাদেশের ৪৩ শতাংশ এলাকা ভূমিকম্পের উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে (জোন-১), ৪১ শতাংশ এলাকা মধ্যম (জোন-২) ও ১৬ শতাংশ এলাকা নিম্ন ঝুঁকিতে (জোন-৩) রয়েছে।