Bangladesh

Experts say Myanmar must solve the Rohingya problem Rohingya
File Picture UN representatives visiting the Rohingya camps in Bangladesh's Cox's Bazar

Experts say Myanmar must solve the Rohingya problem

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 25 Sep 2020, 03:26 pm

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ :  বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি বিভিন্ন সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত, কানাডিয়ান হাইকমিশনের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজারে দুই দিনের সফর শেষে তারা এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

প্রতিনিধিদল জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ। রোহিঙ্গাদের সমস্যা মিয়ানমারেরই, তাই মিয়ানমারকেই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস হামলাকারীদের।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তাদানকারী জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমন্বয়কারী ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের (আইএসসিজি) দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বলেন, ‘আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের গৃহীত সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ প্রশমিত হতে দেখেছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় এক্ষেত্রে একটি কার্যকর এবং জীবন রক্ষাকারী  প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে কক্সবাজার জেলায় নির্দিষ্ট খাতে মানবিক সহায়তার পাশাপাশি বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহায়তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা দিয়েছে। একইসঙ্গে আমরা এই সংকট সমাধানে এবং শরণার্থীদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের কাজ চালিয়ে যাবো।’

কানাডিয়ান হাইকমিশনের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান ফেড্রামুন মরিস বলেন, ‘শরণার্থীরা কোভিড-১৯ থেকে নিজেদের সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে নিজেরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তারা সাড়াদানের মূল চালিকাশক্তির ভূমিকায় রয়েছেন। আমাদের উচিত তাদের অবদানকে যথাযথভাবে স্বীকৃতি দেওয়া।’

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে প্রতিনিধিদল শ্বাসতন্ত্রের তীব্র সংক্রমণজনিত আইসোলেশন ও চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখেন। ১৪টি চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রায় এক হাজারটি শয্যা রয়েছে, যা বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা উভয় জনগোষ্ঠীর করোনা রোগীদের চিকিৎসা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে কোভিড-১৯ পরীক্ষা কেন্দ্র।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিবির ও শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।’ ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনজে তিরিঙ্ক বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ভাসানচরে ‘গো অ্যান্ড সি’ একটি ভালো উদ্যোগ ছিল।’