Bangladesh
Facebook: Two Nigerian nationals arrested over online fraud
সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার আলবার্ট প্রথমে ফেসবুকে বিভিন্ন মানুষকে ভুয়া আইডি থেকে অপরিচিতদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতেন। টার্গেট ব্যক্তি যখন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করতেন তখন তার সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে মেসেজ আদান প্রদান শুরু করতেন। এরপর নিজেকে বিভিন্ন দেশের নাগরিক বলে পরিচয় দিতেন। এভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার একপর্যায়ে বলতেন, বন্ধু আমি তোমার জন্য কিছু গিফট পাঠাতে চাই। তোমাকে গ্রহণ করতে হবে। কারণ তুমি আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু।
তিনি জানান, গিফট পাঠানোর কথা বলে কৌশলে তার কাছ থেকে ই-মেইল অ্যাড্রেস এবং নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করতেন আলবার্ট। তার কয়েক দিন পর ভুয়া গিফটের ছবি তুলে ম্যাসেঞ্জারে ছবি পাঠিয়ে বলা হতো, ‘বন্ধু তোমার জন্য একটি পার্সেল পাঠিয়েছি। তুমি ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রহণ করো’।
সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের এ কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেফতার নূপুর ‘কাস্টম অফিসার সালমা’ বলে নিজেকে পরিচয় দিয়ে ভিকটিমকে ফোন করতেন। ফোনে বলতেন, ‘স্যার, আপনার নামে একটি পার্সেল এসেছে। আমরা আপনার ঠিকানা যাচাই করার জন্য ফোন করেছি। আপনার ঠিকানা মিলিয়ে নিন।’ তারপর বলতেন, ‘স্যার, আপনার ঠিকানায় পার্সেলটি পৌঁছে যাবে।’ তারপর কিছুক্ষণ পর আবার ফোন করে বলতেন, ‘স্যার আমরা আপনার পার্সেলটি স্ক্যান করে অনেক ডলার ও সোনা পেয়েছি। এগুলো অবৈধভাবে বাংলাদেশে এসেছে। এগুলো বৈধ করতে হলে আপনাকে ডলার ও সোনার জন্য সরকারি ট্যাক্স বাবদ টাকা জমা দিতে হবে। যদি টাকা জমা না করেন তাহলে মানি লন্ডারিং মামলা হবে।’ এভাবে তিনি ভয় দেখাতেন আর ভিকটিমকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিতেন টাকা পাঠানোর জন্য।
গ্রেফতার ওকেচুকুর প্রধান কাজ ছিল অ্যালবার্টকে মোবাইল সিম সরবরাহ করা। তাছাড়া বিভিন্ন ফেসবুক আইডিতে আলবার্টের মতো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতেন এবং আলবার্টকে সরবরাহ করতেন। তিনি নুপুরকে সব ধরনের সহযোগিতা করতেন। চক্রটি গত দুই বছরে কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছে।