Bangladesh
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে মামলার আবেদন
মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনাকারী ও হুকুমদাতা এবং বাদীর দৃষ্টিতে ঘটনার প্রধান আসামি হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতে থলের বিড়াল বের হয়ে এসেছে। খালেদা জিয়া পরিকল্পনা করেছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান যেভাবে আড়ালে থেকে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিলেন, এরপরও তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার আসামি হননি, বেগম খালেদা জিয়াও তার স্বামীকে ফলো করে আড়ালে থেকে জঙ্গিবাদী মুফতি হান্নানের দলবল দিয়ে শেখ হাসিনাসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের যারা জীবিত আছেন এবং দলের শীর্ষ নেতাদের খুন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিলেন।
মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৫ আগস্টের আগেই তারেক রহমান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, জঙ্গি সংগঠনের প্রধান মুফতি হান্নান, ডিজিএফআই পরিচালক মেজর জেনারেল রেজাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআই প্রধান ব্রিগেডিয়ার আব্দুর রহিম, পুলিশ প্রধান আশরাফুল হুদা এবং হারিছ চৌধুরী, আব্দুস সালাম পিন্টু, আলী হাসান মুজাহিদসহ প্রশাসনের প্রধান কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি গোপন বৈঠক করেন। যে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় কীভাবে ২১ আগস্টে ১৫ আগস্টের খুনের মতো শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সবাইকে হত্যা করে সফল হতে হবে। বৈঠক শেষে খালেদা জিয়া সবাইকে জানিয়েছেন, আপনারা সবাই হাওয়া ভবনে বসে তারেক রহমান ও লুৎফুজ্জামান বাবরের সঙ্গে পরামর্শ করবেন কীভাবে এ কাজটি সফল করা যায়। বেগম খালেদা জিয়ার ধারণা ছিল, জঙ্গি সংগঠন মুফতি হান্নানের নাম দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড হলে তাকে মনে হবে একটি দুর্ঘটনা। এভাবে কাজটি করলে তিনি আড়ালে থেকে আসামি না হয়ে বাঁচতে পারবেন।
পরে হাওয়া ভবন থেকে তারেক রহমান প্রশাসনের সহযোগিতায় আনুমানিক দুই ব্যাগ গ্রেনেডসহ মুফতি হান্নানের জঙ্গি সংগঠনের ক্যাডারদের নিয়ে আওয়ামী লীগের জনসভাস্থলের বিপরীত দিকের একটি বিল্ডিংয়ে মজুত রাখে। আদেশ ছিল শেখ হাসিনার ভাষণের সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেনেড ছুড়ে সবাইকে শেষ করে দেওয়া হবে।