Bangladesh

পাকিস্তানের রেজল্যুশনকে ধিক্কার জানাল বাংলাদেশি সাংবাদিকেরা

পাকিস্তানের রেজল্যুশনকে ধিক্কার জানাল বাংলাদেশি সাংবাদিকেরা

| | 19 Dec 2013, 06:26 am
ঢাকা, ডিসেম্বর ১৯: বাংলাদেশি সাংবাদিকেরা বৃহস্পতিবার যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামী নেতা আবদুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সংসদে গৃহীত নিন্দা প্রস্তাবকে ধিক্কার জানান।

 বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) একটি দল যৌথভাবে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।


আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বুধবার বলেন পাকিস্তান সরকারের উচিত মোল্লার মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে সংসদে গৃহীত নিন্দা প্রস্তাব প্রত্যাহার করা।

"যদি এই রেজল্যুশন প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফোরামে এই ব্যাপারটি নিয়ে যাবে," হানিফ বলেন।
 
 গণজাগরণ মঞ্চের সদস্যেরা বুধবার পাকিস্তান হাই কমিশন ঘেরাও করে মোল্লার মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সংসদে গৃহীত নিন্দা প্রস্তাবের প্রতিবাদে।

গণজাগরণ মঞ্চের সদস্যেরা হাই কমিশনের প্রাঙ্গণে জুতো ছুঁড়ে ফেলে।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সাজিব ওয়াজেদ জয় বুধবার বলেন যে মোল্লার মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সংসদে গৃহীত নিন্দা প্রস্তাবে তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

"কাদের মোল্লার মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সংসদে গৃহীত নিন্দা প্রস্তাব আমাকে ক্ষুব্ধ করেছে। কাদের মোল্লাকে নির্দোষ দাবী করে ইমরান খানের দেয়া বক্তব্যেও আমি ক্ষুব্ধ," জয় তাঁর ফেসবুকে লেখেন। 

"পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের দোসর জামায়াতে ইসলামী আমাদের ৩০ লক্ষ মানুষকে মাত্র ৯ মাসের যুদ্ধে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো। তাদের বর্বরতা ছিলো কল্পনাতীত। 

"এই জাতিটার এখনও সেই স্পর্ধা হয় যে, তারা শুধু এসব অস্বীকারই করে না উপরন্তু, তাদের \'কসাই\' এর বিচার সম্বন্ধে মিথ্যা বলে এবং সমালোচনা করে, যা বাঙালি হিসেবে আমাকে ভীষণভাবে ক্রুদ্ধ করেছে," তিনি বলেন।

জয় বলেছেন যে পাকিস্তান কখনোই স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমাদের মানুষগুলোর উপর তাদের বর্বর নির্যাতনের জন্য ক্ষমা চায়নি। 

"তারা আল কায়দাকে বছরের পর বছর আশ্রয় দিয়েছে, সেই সাথে সমগ্র বিশ্বে মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীকে ভরণপোষণ করেছে। তারা বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার সবদেশে সন্ত্রাসী হামলা সম্পন্ন করেছে এবং তাতে মদদ যুগিয়েছে। তাদের গ্রহনযোগ্যতার সম্পূর্ণ অভাব এবং দুষ্চরিত্রেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে পাকিস্তানের সংসদের এই প্রস্তাবে। 

"৪২ বছর আগে যে মাসে আমরা তাদের পরাজিত করেছিলাম সেই বিজয়ের মাসে তারা এসব করছে যা বিষয়টাকে আরও বেশি অপমানজনক করে তোলে," তিনি বলেন।

জয় বাংলাদেশের মানুষকে পাকিস্তানি পন্য বর্জন করতে আহ্বান করেছেন।

"আসনু আমরা সব পাকিস্তানি পন্য বর্জন করি এবং সবধরণের আমদানী বন্ধ করে দেই। বাংলাদেশে সমস্ত পাকিস্তানি পতাকাকে নামাতে বাধ্য করি। আমি সবাইকে পাকিস্তানি হাই কমিশন বরাবর পদযাত্রায় অংশ নিতে এবং সেখানে তাদের প্রতিবাদ জানাতে অনুরোধ করছি," তিনি বলেন।

"আসুন আমরা অঙ্গিকার করি যে তাদের সমর্থক এবং সহযোগীদের চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দিবো। সশস্ত্র জামাতিদের অবস্থান আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের জানান। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। 

"এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আমাদের বিরোধীদলের নেত্রীও এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত যিনি বিগত নির্বাচনগুলোর আগে আইএসআইয়ের এজেন্টদের সাথে বৈঠক করেছেন এবং তাদের অর্থায়নে নির্বাচন পরিচালনা করেছেন। ধিক খালেদা জিয়াকে।"

"আসুন আমরা আবারও ১৯৭১ এর চেতনায় জাগ্রত হয়ে, সমস্বরে চিৎকার করে বলে উঠি, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু!" জয় বলেন।