Bangladesh

সেলসম্যান থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক : অবশেষে শ্রীঘরে
সংগৃহিত মনিরের বাসা থেকে উদ্ধার করা বিদেশি পিস্তল, গুলি, বিদেশি মদ, আট কেজি স্বর্ণ, প্রায় ৯ লাখ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা এবং নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকা নগদ জব্দ করা হয়। ইনসেটে র‌্যাবের হাতে আটক মনির

সেলসম্যান থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক : অবশেষে শ্রীঘরে

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 21 Nov 2020, 09:04 pm

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২১ নভেম্বর ২০২০: নব্বইর দশকে রাজধানীর গাউছিয়ায় একটি কাপড়ের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন মো. মনির হোসেন। এরপর শুরু করেন ক্রোকারিজের ব্যবসা। তারপর লাগেজ ব্যবসা অর্থাৎ ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে তিনি বিভিন্ন দেশ থেকে মালামাল আনতেন। একপর্যায়ে জড়িয়ে পড়েন স্বর্ণ চোরাকারবারে। এরপর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অবৈধভাবে স্বর্ণ চোরাচালান, জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভূমি দখল করে এখন তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক।

অবৈধ অস্ত্র ও মাদকসহ রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় গাড়ি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেফতারের পর এ তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব।

রাতভর অভিযানের পর শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঘটনাস্থলে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ অবৈধপথে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন গোল্ডেন মনির। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে তার স্বর্ণ চোরাকারবারের রুট ছিল ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ভারত। এসবই তিনি করেছেন ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে। যেখানে তার নাম হয়ে যায় গোল্ডেন মনির।

অভিযান সম্পর্কে আশিক বিল্লাহ বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩ এর একটি দল শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টায় মেরুল বাড্ডা ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায় অবস্থান নেয়। অভিযানের মূল কারণ ছিল অবৈধ অস্ত্র ও মাদক। মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেফতারের পর তার হেফাজত থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, বিদেশি মদ এবং প্রায় ৯ লাখ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়। তার বাসা থেকে আট কেজি স্বর্ণ ও নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকা নগদ জব্দ করা হয়েছে।

গোল্ডেন মনির ওরফে মো. মনির হোসেন সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, তিনি মূলত একজন হুন্ডি ব্যবসায়ী, স্বর্ণ চোরাকারবারি এবং ভূমির দালাল। তার একটি অটোকার সিলেকশন শোরুম আছে। পাশাপাশি রাজধানীর গাউছিয়ায় একটি স্বর্ণের দোকানের সাথে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। আমরা তার বাসা থেকে অনুমোদনবিহীন বিলাসবহুল দুটি বিদেশি গাড়ি জব্দ করেছি, যার প্রত্যেকটি দাম প্রায় তিন কোটি টাকা। এর পাশাপাশি কার সিলেকশন শোরুম থেকেও আমরা তিনটি বিলাসবহুল অনুমোদনবিহীন গাড়ি জব্দ করেছি।

মো. মনিরের বিরুদ্ধে দুটি মামলা ইতোমধ্যে চলমান- একটি মামলা হচ্ছে রাজউক সংক্রান্ত। রাজউকের ভুয়া সিল-স্বাক্ষর জালিয়াতি এবং আরেকটি দুদকের । গোল্ডেন মনিরকে র‌্যাব-৩ কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।