Bangladesh
Human Trafficking: Alauddin gets bail
ওই মামলা থেকে শিশু আলাউদ্দিনকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। গত বছর থেকে মানবপাচার মামলার আসামি হয়ে বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল শিশু আলাউদ্দিন। যে বয়সে বিদ্যাপীঠে গিয়ে পাঠে মননিবেশ করার কথা, সেই বয়সে ভয়ঙ্কর মানবপাচার মামলার ফেরারি আসামি আলাউদ্দিন।
আলাউদ্দিন কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার চাকমারপুল এলাকার মৃত ইলিয়াসের দ্বিতীয় ঘরের রিজিয়া বেগমের সন্তান। রিজিয়া বেগমের সাত ছেলেমেয়ের মধ্যে আলাউদ্দিন চতুর্থ। স্থানীয় জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার কওমি ইয়াজদাহুম বিভাগের ছাত্র সে।
২০১৮ সালে মানবপাচার মামলায় আসামি করা হয় ছোট্ট আলাউদ্দিনকে। মামলার এজাহারে তার বয়স দেখানো হয় ২২ বছর। এর পরই শিশুতোষ জীবন নষ্ট হয়ে যায় আলাউদ্দিনের। আজ এই আত্মীয়ের বাসায় তো কাল ওই আত্মীয়ের বাসায়। এভাবেই প্রতিদিন এখানে-সেখানে মামলা কাঁধে নিয়ে পালিয়ে বেড়ায় আলাউদ্দিন। মাদ্রাসায় যাওয়ার সুযোগই পায়নি এতদিন সে। এদিকে মামলার খরচ চালাতে অসহায় ও অসমর্থ হয়ে পড়েন আলাউদ্দিনের মা রিজিয়া বেগম।
উপায়ন্তর না পেয়ে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সন্তানকে নিয়ে জামিন নিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রিজিয়া বেগম। অবশেষে আলাউদ্দিনকে এ মামলায় জামিন দেন হাইকোর্ট।
রিজিয়া বেগম গণমাধ্যমকে জানান, আলাউদ্দিনের সৎভাইয়েরা শত্রুতা করে নিষ্পাপ ছেলেটির বয়স বাড়িয়ে মানবপাচার মামলা দিয়ে জীবন শেষ করে দিয়েছে। তার অভিযোগ, সতীনের ছেলেরা আলাউদ্দিনকে ঢাকার মামলাবাজ সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। ওই সিন্ডিকেটের কাজ হলো মানবপাচারের মামলা সাজিয়ে নিরীহ নিরপরাধ মানুষকে ফাঁসানো। তার পর সহায় সম্পদ কেড়ে নেয়া।
তিনি বলেন, অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করে সংসার চালাই। ভিটেমাটি ছাড়া আর কিছুই নেই আমাদের। আলাউদ্দিনের বাবা দুই বিয়ে করেন। প্রথম ঘরের স্ত্রীর বড় ছেলেদের সঙ্গে শত্রুতার জেরে আলাউদ্দিনকে মানবপাচার মামলায় আসামি করা হয়।