Bangladesh
বিভাজনের থেকে দূরে থাকল বাংলাদেশের নববর্ষ উৎসব, দেশ মাতলও আনন্দের জোয়ারে
বাংলাদেশের মাটিতে সকল ধর্মের মানুষের স্থান আছে।
এই দেশ শুধু একটি ধর্মের মানুষের জন্য নয়। আর সকল উৎসবের এক আলাদা স্থান আছে এই দেশের মানুষের কাছে।
কিছুদিন আগে, দেশে নববর্ষের উৎসবকে ঘিরে এক অদ্ভুত বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল।
তবে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবার একবার দেশের মানুষের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
নববর্ষ যে নিছক এক বাঙ্গালী জাতীর উৎসব ও এর সাথে নেই ধর্মের যোগ, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন হাসিনা।
হাসিনা বলেনঃ "পয়লা বৈশাখ একটি সর্বজনীন উৎসব।"
" সব ধর্মের মানুষ এ উৎসবে যোগ দেয়। এটাই একমাত্র উৎসব, যা সব ধর্মের মানুষ একত্রে পালন করে। এ উৎসব হচ্ছে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য," হাসিনা বলেন।
উনি আরও বলেন যে এই উৎসব মুঘলদের সময় থেকে চলে আসছে।
"পহেলা বৈশাখ বাঙালির নববর্ষ হিসেবে মুঘল আমল থেকেই পালন করা হচ্ছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা মুঘল আমল থেকেই শুরু হয়। মঙ্গল কোনো হিন্দুয়ানি শব্দ না," হাসিনা বলেন।
হাসিনা এই কথাগুলি বলেছিলেন উৎসবের আগে।
আর শেষপর্যন্ত আনন্দের মাঝেই উদযাপিত হয় দিনটি।
শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আজকের আনন্দের মাঝে বঙ্গাব্দ ১৪২৪ বরণ করে নেওয়া হয়।
দেশ জুড়ে নতুন বছরকে নিয়ে থাকে আনন্দের আমেজ।
পহেলা বৈশাখের সকালে গণভবনে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গানের মাঝে আনন্দের আমেজ ভাগ করে নেয় মানুষেরা।
উৎসবের দিন হাসিনা বলেনঃ “পুরনো বছরের জঞ্জাল সরিয়ে বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাবে।"
"দেশের মানুষ আনন্দলোকে বাস করবে, সুন্দর জীবন পাবে," উনি বলেন।
দেশের মানুষদের হাসিনা শুভেচ্ছা জানান।
ঢাকায় বেরিয়েছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা।
বহু মানুষ আজকের এই শোভাযাত্রাইয় যোগ দেন।
নববর্ষ যে একটি উৎসব তা একবার বুঝিয়ে দেন মার্কিন দূতাবাসও।
বাংলাদেশের মাটিতে অবস্থিত এই দূতাবাসের কর্মীরাও নিজেদের মত করে এই উৎসবে মেতে ওঠেন।
বর্ষবরণ উৎসবের একটি ভিডিও ক্লিপ আজ দূতাবাসের ফেইসবুক পেজে পোস্ট করা হয়েছিল।
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাটকে শাড়ি পরে কর্মকর্তাদের সাথে উৎসবে যোগ দিতে দেখা গেছে।
দূতাবাসের ফেসবুক পেজে লেখা আছেঃ "শুভ নববর্ষ বাংলাদেশ!