Bangladesh

"মুজিবের খুনিদের ফেরানর চেষ্টা হচ্ছে" ঃ দীপু মণি

| | 28 Aug 2013, 04:11 am
ঢাকা, অগাস্ট ২৮ ঃ দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের মধ্যে যে কজন এখনও দেশের বাইরে গা ঢাকা দিয়ে আছে, তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য কূটনৈতিক স্তরে চেষ্টা চালান হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী দীপু মণি।

 "শেখ মুজিব হত্যা মামলা ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। যে সব হত্যাকারী বিদেশে পালিয়ে রয়েছে, তাদের ফিরিয়ে এনে দেশের মাটিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার ব্যাপারে কূটনৈতিক স্তরে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি এবং এই চেষ্টা চালু থাকবে," তিনি বলেন। 

 
জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে দীপু মণি অভিযোগ করেন, যুদ্ধাপরাধী এবং মুজিবের হত্যাকারীদের পুনর্বাসন দিয়ে ও সেই সাথে জাতীয় শোক দিবসে খালেদা জিয়ার \'ভুয়ো জন্মদিন\' পালন করে প্রধান বিরোধী দল বি এন পি দেশকে কলঙ্কিত করেছে।
 
তিনি বলেন, যে হত্যাকান্ডগুলি দেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলি ১৯৭১, ১৯৭৫ এবং ২০০৪ সালে ঘটিয়েছে, সেগুলি সব একই সুতোয় গাঁথা, কেননা সবক\'টি হত্যারই মূল উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ান আওয়ামি লীগকে ধ্বংস করা।
 
বিদেশমন্ত্রী বলেন, বি এন পি-র নেতৃত্বে যে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আজ ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে, তাদের হাত থেকে দেশকে কীভাবে বাঁচান  ্যায়, তা মানুষকে ভাবতে হবে।
 
"আপনারা যদি বি এন পি-জামাত-হেফাজতকে ভোট দেন, তাহলে তারা আবার দেশজুড়ে সন্ত্রাস আর দূর্নীতির রাজত্ব কায়েম করবে। অন্যদিকে আওয়ামি লীগকে ভোট দিলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি মধ্য আয়ের রাষ্ট্র হয়ে উঠবে এবং দেশ সন্ত্রাস ও দূর্নীতিমুক্ত হবে," তিনি বলেন।
 
সভায় উপস্থিত আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন বি এন পি-নেতৃত্বাধীন পূর্বতন সরকারের মদতেই সন্ত্রাসবাদী শক্তি দেশ মাথা চাড়া দিয়েছে।" বিরোধী নেত্রীর পুত্র তারিক রহমান এই সন্ত্রাসবাদীদের গডফাদার এবং তাঁর হাওয়া ভবনে বসেই ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে যত রাজনৈতিক হত্যা হয়েছে, সেগুলির চক্রান্ত করা হয়েছে," তাঁর অভিযোগ।
 
কামরুলের আরও অভিযোগ, বি এন পির চেয়ারপার্সন স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং সেই কারনেই আজ "সমস্ত স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলি খালেদা জিয়ার কথামত চলছে।"
 
নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসকে সমালোচনা করে কামরুল বলেন, এটা খুবই অদ্ভুত যে, ইউনুস রাজনীতির মানুষ না হয়েও ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা করতে চাইছেন।