Bangladesh

"আওয়ামী লীগ মনোভাবে পরিবর্তন আনবে"

| | 19 Aug 2013, 12:58 pm
ঢাকা, অগাস্ট ১৯: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার বলেন তাঁর দল আশা করে যে আওয়ামী লীগ তাদের মনোভাবে পরিবর্তন আনবে ও পরবর্তী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার পদক্ষেপ নেবে।

 "বিএনপি ও তার জোটসঙ্গীরা আশা করছে যে শেষ মুহূর্তে শাসকদলের মানুষজনের মনে বিচারবুদ্ধি জাগবে ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে," ফখরুল বলেন এক সাংবাদিক সন্মেলনে।

 
"রাজনৈতিকদের কাজ হল মানুষের জন্য কাজ করা। তাই আমরা নির্বাচকমণ্ডলীর বিরুদ্ধে যাব না," তিনি জানান।
 
 অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র পুত্র সাজিব ওয়াজেদ জয় সোমবার বলেন খালেদা জিয়ার বিএনপি জাই বলুক না কেন, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেই।
 
"তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটি আমাদের সুপ্রিম কোর্ট থেকে অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়েছে। আমাদের সংবিধানের মুখবন্ধে বলা হয়েছে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র যা \'নির্বাচিত\' জনপ্রতিনিধিদের শাসনাধীন। যার অর্থ হলো যেকোন \'অনির্বাচিত\' সরকার অসাংবিধানিক," জয় একটি ফেসবুক পোস্টে লেখেন। 
 
"অনেক মাস আগে থেকেই আমরা বিরোধীদলের কাছে \'নির্বাচিত\' অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সমঝোতা প্রস্তাব দিয়ে রেখেছি। যাইহোক, আমাদের বিরোধীদল বারবার এই ধরনের যেকোন আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এর পরিবর্তে আল্টিমেটাম দিয়ে যাচ্ছে," তিনি বলেন।
 
"এই মুহুর্তে আলোচনা ফলপ্রসু হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। বিরোধী দল একের পর এক আল্টিমেটাম এবং হুমকি দিয়েই যাচ্ছে, কিন্তু যাই হোক না কেন শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে আসবে। তারা গত চার বছর ধরে স্থানীয় নির্বাচনে বারবার এই কাজ করেছে," বলেন জয়।
 
তিনি বলেন আওয়ামী লীগ কখনও কোন নির্বাচনে কারচুপি করেনি
 
"বাস্তবতা এই যে, আওয়ামী লীগ কখনও কোন নির্বাচনে কারচুপি করেনি। এবারকার সময় নির্বাচন কমিশনের অধিনে ৬০০০ এর অধিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সবগুলো নির্বাচনই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। এটা শুধুমাত্র বিএনপি যারা নির্বাচনে কারচুপির আশ্রয় নেয়। 
 
"তারা ১৯৯৬ সালে একটি জোচ্চুরির ইলেকশন করেছিলো যার ফলে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিলো। ২০০৬ সালে তারা একটি নতুন খসড়া ভোটার তালিকা বানিয়েছিলো যাতে অন্তত ১৪ মিলিয়ন ভুয়া ভোটার ছিলো," তিনি বলেন। 
 
"এমনকি রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীন সাংবিধানের সাতটি ধাপ পাশ কাটিয়ে উত্তরাধিকারসূত্রে নিজেকে প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ করেছিলো, যার মাধ্যমে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। 
 
"এটা ছিলো বিএনপির ২০০৭ এর নির্বাচনে কারচুপি করার ভয়ানক প্রচেষ্টা যা সমারিক বাহিনীকে ক্ষমতা দখলের সুযোগ তৈরি করে দেয়।"
 
"যখন বিএনপি বারবার বাংলাদেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে, আওয়ামী লীগ সবসময় তা রক্ষা করে সমুন্নত রেখেছে। এখন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আপনার, আপনি কাদের বেছে নেবেন," জয় বলেন।