Bangladesh

Major development along Benapole border with India
Amirul Momenin

Major development along Benapole border with India

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 23 Jun 2020, 08:20 am
ঢাকা, জুন ২৩ : দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর যশোরের বেনাপোল দিয়ে ভারতের সঙ্গে আড়াই মাস ধরে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকার পর গত ৭ জুন ভারতীয় পণ্যের আমদানি শুরু হয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে প্রায় তিন মাস বাংলাদেশের সঙ্গে রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রেখেছে ভারত। রফতানি বন্ধ থাকায় প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে। স্থানীয়ভাবে দফায় দফায় বৈঠক করা হলেও সচল হয়নি রফতানি বাণিজ্য।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা চলছে। শিগগিরই রফতানি বাণিজ্য চালু হবে। স্বাভাবিক সময়ে বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দেড়শ থেকে দুইশ ট্রাকে ভারতে পণ্য রফতানি হয়।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশি রফতানি পণ্যের বড় বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম ভারত। দেশে স্থলপথে যে রফতানি বাণিজ্য হয় তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতি বছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার মেট্রিক টন পণ্য ভারতে রফতানি হয়। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় ২২ মার্চ থেকে স্থলপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুই পারে বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় পণ্য নিয়ে আটকা পড়ে কয়েক হাজার ট্রাক।


ভারতে লকডাউন শিথিলে দফায় দফায় বৈঠকের পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ৭ জুন ভারতীয় পণ্যের আমদানি শুরু হয়। তবে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি এখনও বন্ধ রয়েছে। রফতানি চালুর বিষয়ে ব্যবসায়ীরা স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভারতীয়রা এই মুহূর্তে রফতানি পণ্য নিতে চাইছেন না। দফায় দফায় বৈঠক করা হলেও সচল হয়নি রফতানি বাণিজ্য। এতে উৎপাদিত পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।


ব্যবসায়ীর বলছেন, দেশীয় পণ্য রফতানির বড় বাজার প্রতিবেশী দেশ ভারত। রফতানি বন্ধ থাকায় তাদের লোকসানের পাল্লা দিন দিন ভারি হচ্ছে। যেহেতু এ পথে আমদানি শুরু হয়েছে তাই রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ফলপ্রসু আলোচনা হলে রফতানি বাণিজ্যও শুরু হবে।


রফতানি পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক চালকরা বলছেন, করোনার কারণে রফতানি বন্ধ থাকায় ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় এখানে কয়েকশ পণ্যবাহী ট্রাক আটকে আছে। রফতানি বাণিজ্য সচল হবে এমন প্রত্যাশায় তারা বন্দরে তিন মাস ধরে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু ভারত পণ্য নিচ্ছে না। এতে তাদের খাওয়া-দাওয়া ও থাকাসহ নানান ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।