Bangladesh
Malaysia wants to return 300 Rohingya
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গারা আমাদের নাগরিক নয়, এ কারণে আমাদের বাধ্যবাধকতা নেই। তারা যেখানে আছে, সেখানকার সরকার যা ইচ্ছা করুক।’ মঙ্গলবার (৯ জুন) ক্লাইমেট ভালনারেবিলিটি ফোরামের ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রোহিঙ্গাদের দায়-দায়িত্ব অন্য দেশকেও নেয়ার পরামর্শ দিয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা আগে থেকে বলে আসছি, যারা রোহিঙ্গাদের বিষয়ে ভাবেন এবং তাদের ভালো রাখতে চান, তারা এদের নিতে পারেন। যারা সেসব দেশে গিয়ে ওই দেশের সদস্য হিসেবে অবদান রাখতে পারে।’
এদিকে আটক রোহিঙ্গাদের নিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানানোর কথা উল্লেখ করে মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে আমাদের জলসীমায় আটক ৩০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানাবে মালয়েশিয়া। ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে সংখ্যালঘু লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।’
আটক রোহিঙ্গারা কক্সবাজার শরণার্থী শিবির থেকে পালিয়েছেন বলেও দেশটির পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই রোহিঙ্গাদের অনেকেই বিভিন্ন সময়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছে। মালয়েশিয়ার সরকার রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। দেশটির সরকার বলছে, তারা আর কোনও রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করবে না। করোনাভাইরাসের বিস্তারের লাগাম টানতে সীমান্তে ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করেছে মালয়েশিয়ার সরকার।
মালয়েশিয়ায় আটক রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বাংলাদেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা বলেন, এই শরণার্থীদের পুরো দায়-দায়িত্ব মিয়ানমারের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে কেন তারা মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান না? এ নিয়ে বাংলাদেশের কিছুই করার নেই।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর কোনও মন্তব্য করেনি।