Bangladesh
Mamata Banerjee government's Minister denied Bangladesh Visa
এ বিষয়ে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজারকে বলেন, ‘তিন দিন আমার অফিসের এক কর্মীকে দু’ঘণ্টা করে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে বসিয়ে রাখার পর বুধবার বলা হয়েছে ভিসা দেয়া হবে না। কেন দেয়া হবে না সে ব্যাপাওে কোনো কারণ দেখায়নি।
বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস তাঁকে কোনও কারণ না দেখালেও, ভিসা না পাওয়ার পিছনে রাজনীতি দেখছেন এই জমিয়তে নেতা। তিনি বলেন, ‘‘সম্ভবত বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে ভুল বোঝানো হয়েছে, না হলে তারা বেশি বুঝছে।’ কোন প্রসঙ্গে তিনি এই অভিযোগ করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সিদ্দিকুল্লা বলেন,‘ ‘বাংলাদেশে আমার কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। এক বারেই ব্যক্তিগত সফর। আমি বাংলাদেশের কোনও সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত নই। তার পরেও আমার ভিসা আবেদন বাতিল করা হল। এর পেছনে অবশ্যই রাজনীতি রয়েছে।’
সিদ্দিকুল্লা এ নিয়ে এর বেশি কোনও মন্তব্য প্রকাশ্যে না করলেও, জমিয়তে উলেমা সংগঠনে তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি, বর্তমানে দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যে ভাবে তোলপাড় হচ্ছে তার মধ্যে সিদ্দিকুল্লা বাংলাদেশে গেলে ভারত সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপ হতে পারে, আশঙ্কা থেকেই হয়তো তাঁকে ভিসা দেওয়া হয়নি। তাঁর অন্য এক ঘনিষ্ঠ অনুগামী এ দিন দাবি করেন, ‘গোটা রাজ্যে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে অন্যতম প্রধান মুখ সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। গত ২২ ডিসেম্বরের জনসমাবেশ থেকে তা আরও স্পষ্ট। তাকে এই মূহুর্তে বাংলাদেশে যেতে দিলে কূটনৈতিক স্তরে সমস্যা হতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই সম্ভবত বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ কোনও কারণ না দেখিয়েই ভিসা দেয়নি।’