Bangladesh
Money laundering case: Three witnesses testify against former Chief Justice SK Sinha
ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম মঙ্গলবার সোনালী ব্যাংক সুপ্রিম কোর্ট শাখার প্রিন্সপাল অফিসার সাদিকুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন ও সিনিয়ার অফিসার আওলাদ হোসেনের সাক্ষ্য নেন। তারা তিনজনই জব্দ তালিকার সাক্ষী। বিচারক আগামী ৪ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ রেখেছেন।
এদিন আসামিপক্ষ সাক্ষীদের জেরা করেনি বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম।
মামলার ১৮ সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত সাতজনের সাক্ষ্য নেয়া হল। এর আগে ১৮ অগাস্ট প্রথম ধার্য তারিখে মামলার বাদী দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন, ২৫ অগাস্ট মামলার রেকর্ডিং অফিসার দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখার অ্যাসিস্টটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মৃনাল মজুমদার ও একই শাখার এক্সিকিউটিভ অফিসার রেজাউল হাসান সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০১৯ সালের ১০ জুলাই দায়ের করা মামলাটি মামলা তদন্ত করে একই বছরের ৯ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র দেন দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। এরপর গত ৫ জানুয়ারি অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
মামলার আসামিদের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী) কারাগারে, সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা জামিনে আছেন।
কানাডায় থাকা বিচারপতি সিনহা ছাড়াও ব্যাংকটির ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় পলাতক রয়েছেন।
গত ১৩ অগাস্ট একই আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার শুরু হয়।
২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। পরে বিদেশ থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।