Bangladesh

Muktijuddho quota to stay: Sheikh Hasina
মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রেখে দরকার হলে অন্যান্য কোটা সংস্কার করা যেতে পারে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাযনির্বাহী সংসদের সভায় আওয়ামী সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনার সূত্রপাত করেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈ মাহমুদ স্বপন।
আলোচনায় অংশ নেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি তো মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখার পক্ষে।
২০০১ সালে আমাকে বিশ্বব্যাংক যে প্রস্তাব দিয়েছিল তা মানলে আমি ক্ষমতায় আসতে পারতাম। মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আপস করলে আমার রাজনীতি করার দরকার কী? তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের জন্য স্বাধীনতাবিরোধীরা পরিকল্পিতভাবে আন্দোলন করাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে একচুলও ছাড় দেয়া হবে না। রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর তালিকা করে তারা যেন কোনো সুযোগ-সুবিধা পায় সে ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা থাকবেই।
মুক্তিযোদ্ধারা আগে পশ্চাৎপদ ছিল, তাদের পরিবারকে সামনে আনা হয়েছে।
তাই এ কোটা থাকবেই। যে রাজাকারের তালিকা বঙ্গবন্ধু করেছেন তার আলোকে রাজাকার, আলবদর, আল-শামসদের তালিকা করে তাদের পরিবারের কেউ যেন সুযোগ-সুবিধা না পায় সেটার দিকে নজর দেয়া হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কেও সভায় আলোচনা হয় বলে সভার একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সভা সূত্রের দাবি অনুযায়ী, সভায় বলা হয় কারাগারে কারাবিধির বাইরেও সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া অথচ আদালতে হাজিরা দেয়ার সময় আসলেই বলা হচ্ছে তিনি অসুস্থ।
বৈঠকে ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ততার কারণে সময় দিতে পারছেন না বলে কিছু বিলম্ব হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যারা আবেদন করেছে তাদের বিষয়টি যাচাই-বাছাই চলছে। নতুন কমিটি নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনে যারা আছে তাদের সঙ্গে আমি দ্রুত বসবো।