Bangladesh
Nepali woman impressed by Bangladeshi hospitality
রেডিও ঝিনুক তথা বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে মেধাবী এই নেপালি নারী মালতি নিউপানে।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে এক বছরের ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে তিনি কমিউনিটি রেডিও প্রোগ্রামের ওপর কাজ করতে আসেন। ঢাকা বা চট্টগ্রামে অনেক প্রতিষ্ঠিত রেডিও স্টেশন থাকলেও তিনি ঝিনাইদহের মতো একটি মফস্বল শহরের রেডিও ঝিনুককে কর্মক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন। শুরুতে নানা প্রতিকূলতায় পড়লেও পরে তা অবলীলায় গ্রহণ করে নিজের কর্মক্ষেত্রকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন এবং সফল হন।
ইতিমধ্যে কমিউনিটি রেডিওয়ের প্রত্যেকটি বিভাগেই তার কর্মদক্ষতায় সফলতার নজীর স্থাপন করেছেন। বাংলাভাষা তার একেবারেই অজানা ছিল। কিন্তু ১০ মাসের অভিজ্ঞতায় এখন বাংলা বলায় একজন বাংলা ভাষাভাষিকেও হার মানাতে সক্ষম তিনি।
নেপালি ছাড়াও ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় কথা বলতে পারেন। ২৯ বছর বয়সী এই নারী তার মেধা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে অসম্ভবকে সম্ভব করে চলেছেন। দেশে কৃতিত্বের পর তিনি এখন বাংলাদেশে, এরপর থাইল্যান্ডে যাওয়ার কথা ব্যক্ত করেন তিনি।
রেডিও ঝিনুকে তিনি স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রোগ্রাম ‘ভালো থাকি’, কৃষিবিষয়ক প্রোগ্রাম ‘আমাদের কৃষি’, শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম ‘এসো ইংরেজি শিখি’ তথ্যমূলক অনুষ্ঠান ‘হ্যালো ৯৯.২’, ‘দেখার মাঝে অদেখা’, ‘ঝিনুকের দর্পণ’ বিনোদন মূলক এবং সংবাদ বিভাগে কাজ করে কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। এই সংক্ষিপ্ত সময়ে রেডিও ঝিনুকের সকল শাখায় তার পদচারণা এবং সে সঙ্গে সফলতা অর্জন করেছেন। অত্যন্ত বিনয়ী ও মিশুক স্বভাবের এই ভিনদেশি নারী স্বল্প সময়েই রেডিও ঝিনুক পরিবারকে আপন করে নিয়েছিলেন।
মালতি নিউপান বলেন, ‘বাংলাদেশের ঝিনাইদহে কাজ করে আমি আনন্দিত। এখানে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি অনেক কিছু শিখলাম যা আমি আমার দেশে গিয়ে সহকর্মীদেরকে শেখাতে পারবো। বাংলাদেশের মানুষ বিদেশিদের প্রতি খুবই আন্তরিক এবং অতিথিপরায়ণ। আমি এদেশের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ’।