Bangladesh
None can defeat united Awami League: Hasina
শনিবার সারাদেশের সাংগঠনিক জেলার নেতা,স্থানীয় সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন। তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি দলকে ঐক্যবদ্ধ দেখতে চাই’।
গত দশ বছর টানা ক্ষমতায় থাকার ফলে দলের ভেতরে যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ, দ্বন্দ-কোন্দল দেখা দিয়েছে, নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। জাতীয় নির্বাচনের আগে এসব কাটিয়ে তুলতে বদ্ধপরিকর ক্ষমতাসীনরা। এরই অংশ হিসেবে সারাদেশের জেলা-উপজেলা, মহানগর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের গণভবনে ডেকে পাঠানো হয়। এরপর ৩০ জুন ও ৭ জুলাই সারাদেশের মহানগর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা ও দলীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের গণভবনে ডেকে দ্বন্দ-কোন্দল দূর করে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করার নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে শেখ হাসিনার সরাসরি সাক্ষাতে তারা উজ্জীবিত, একথা স্বীকার করলেও তৃণমূল নেতারা বলছেন, শুধু নির্দেশনা দিয়ে দলে ঐক্য ফেরানো যাবে না।
এটা খুবই কঠিন কাজ।
দ্বন্দ্ব-কোন্দল দূর করে দলে ঐক্য ফেরাতে হলে কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং সেল করতে হবে। সেখানে অভিযোগ জমা পড়লে তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করতে হবে।
সারাদেশে অন্তত এক ডজন ঘটনার শাশিÍ নিশ্চিত করতে পারলে এক মাসের মধ্যে দ্বন্দ কোন্দল দূর হয়ে দলে ঐক্য ফিরে আসবে।
গভায়, তৃণমূল নেতারা রাজনীতিবিদদেরকেই আগামীতে মনোনয়ন দিতে অনুরোধ করেন। তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য শুনে সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংগঠনকে শক্তিশালী করবেন। নৌকার ভোট ছাড়া আর কিছুই গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারও চেহারা দেখার দরকার নেই। শুধু নৌকায় ভোট দেবেন। এটাই সবার কাছে প্রচার করবেন।’
তিনি বরেন, ‘আমাদের সরকারের উন্নয়নের সংক্ষিপ্ত তূলনামূলক চিত্র সাজিয়ে আপনাদেরকে একটা খামে করে উপহার দিয়েছি। এটা নিয়েই আপনারা জনগণের কাছে যেতে পারবেন। আওয়ামী লীগ কী কী উন্নয়ন করেছে তা বলতে পারবেন। আপনারা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে জনমত তৈরি করুন। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে তা অব্যাহত রাখতে হবে।