Bangladesh

Not thinking about the lockdown yet: Cabinet Secretary Lockdown
File Picture Cabinet Secretary Khandker Anwarul Islam

Not thinking about the lockdown yet: Cabinet Secretary

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 23 Sep 2020, 11:06 am

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ : আসন্ন শীতে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায় (সেকেন্ড ওয়েভ) শুরু হলে ফের লকডাউন দেয়ার বিষয়টি এখনও সরকারের চিন্তার মধ্যে নেই। তবে আশঙ্কা সামনে রেখে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। মূলত অর্থনীতি সচল রেখেই দ্বিতীয় ধাক্কা সামলানোর পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হওয়ার আশঙ্কাকে সামনে রেখে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা সভায় অংশ নেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘যদি (করোনার দ্বিতীয় পর্যায়) আসে আমরা টোটাল প্রোগ্রামকে ভাগ করব। ওয়ার্ক প্ল্যান রেডি করে নিতে হবে। ক্লিনিক্যাল সাইডটা আমাদের এক্সপার্টরা রেডি করবেন, যদি রোগটা বিস্তার করে, কীভাবে তার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান হবে। সাপ্লিমেন্টারি ক্লিনিক্যাল সাইট, যেহেতু শীতের সময় অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা বেশি থাকবে, সেটাও ইমিডিয়েটলি সবাইকে সচেতন করে দেয়া এবং তারও একটা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান রেডি করা।’

বাইরে থেকে অনেক লোকজন দেশে আসছে ও বাইরে যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ ব্যাপারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা করা হবে, যাতে বাইরে থেকে আর ভাইরাস না আসে। বিমানবন্দরে সশস্ত্র বাহিনীর বড় টিম আছে, তারা দেখাশোনা করছেন।’

স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে অভিযান বাড়ানো হবে কি-না, জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘পরিস্থিতির ওপর ডিপেন্ড (নির্ভর) করবে। যদি কোনো রকম ইমপ্যাক্ট না পড়ে, আমাদের মূল কথা থাকবে আমরা ইকোনমিকে সচল রাখব ইনশাআল্লাহ।’

বিদেশফেরত যাত্রীদের প্রবেশের বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখন যেটা করছি কোলাবরেশন উইথ সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং ফরেন মিনিস্ট্রির সাথে। এয়ারপোর্টে এবং বিভিন্ন এন্ট্রিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লোকজন থাকে। বিদেশফেরত অনেকে সার্টিফিকেট নিয়ে আসেন যে, তারা কোভিড ফ্রি। যারা নিয়ে আসেননি তারা কতদিন সেখানে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন, সেই সার্টিফিকেট নিয়ে আসেন। যাদের এ রকম কোনো সার্টিফিকেট নেই এবং যাদের সন্দেহ হয়, তাদের আমরা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাই। ঢাকায় দিয়াবাড়ি ও হাজী ক্যাম্পে (কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা) আছে।

তিনি বলেন, ‘করোনা যখন পিকে ছিল তখন সাড়ে ৩ হাজারের মতো প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের ক্যাপাসিটি (ধারণ ক্ষমতা) ছিল। কিন্তু সংখ্যা দেড় হাজারের ওপর ওঠেনি। এজন্য আমরা ধারণ ক্ষমতা কমিয়ে ২ হাজারের মতো রেখেছি। এতে আমাদের সাশ্রয় হচ্ছে। যদি পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায় তাহলে আমরা কোয়ারেন্টাইন সুবিধা আবার সাড়ে ৩ হাজারে নিয়ে যাব।’