Bangladesh
Over a million people used Benapole port to travel to India during 2019-20 financial year: Officials
বন্দর ও ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, গত অর্থবছরে বেনাপোল আন্তর্জাতিক কাস্টমস ইমিগ্রেশন হয়ে ভারতে গেছেন ভ্রমণকারী দেশি-বিদেশি পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৬৭ কোটি ৪৭ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯৪ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে সরকার। এর মধ্যে বেনাপোল সোনালী ব্যাংক আদায় করেছে ৪৭ কোটি ৪৬ লাখ ২২ হাজার টাকা রাজস্ব। বাকি অর্থ আদায় করেছে দেশের অন্যান্য সরকারি ব্যাংক। তবে করোনার কারণে গত মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে যাত্রীর যাতায়াত তার আগের অর্থ বছরের চেয়ে কমেছে।
ভারতগামী যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ কর আদায়ে কাজ করে বেনাপোল সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। যাত্রী প্রতি সরকার নির্ধারিত ৫০০ টাকা ভ্রমণকর এবং বন্দরের ট্যাক্স বাবদ ৪২ টাকা ৮৫ পয়সা আদায় করা হয়। সেসব যাত্রী ভারতে প্রবেশ করেছেন তাদের ৯০ শতাংশ বাংলাদেশি এবং ১০ শতাংশ ভারতসহ অন্যান্য দেশের নাগরিক।
সূত্র জানায়, ১৯৭২ সাল থেকে বৈধভাবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাসপোর্টে ভারত যাতায়াত শুরু হয়। বেনাপোল থেকে কলকাতা শহরের দূরত্ব ৮৪ কিলোমিটার। বেনাপোল থেকে রওনা দিয়ে ট্রেন ও বাসযোগে মাত্র আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছানো যায় কলকাতা শহরে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এই পথে চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণপিপাসুরা যাতায়াতে প্রথম থেকেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন বা করেন। বর্তমানে বেনাপোল স্থলপথের পাশাপাশি রেলপথেও যাত্রীরা ভারত যাতায়াত করেন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত সরকার ১৩ মার্চ থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশের পাসপোর্ট যাত্রীদের ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি ও ভিসা স্থগিতের পর ঢাকা-কলকাতা বাস সার্ভিস, খুলনা-কলকাতা বন্ধন ট্রেন সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এরপর ২২ মার্চ ভারতে জনতার কারফিউ জারি করা হয়। ২৩ মার্চ থেকে দফায় দফায় লকডাউন বাড়িয়ে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ সময়ে যেসব বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে আছেন তারা ইচ্ছা করলে বেরিয়ে আসতে পারবেন। আর ভারতীয় পাসপোর্টধারী যাত্রী যারা বাংলাদেশ আছেন তারা ফিরে যেতে পারবেন। তবে নতুন করে কোনো পাসপোর্টধারীকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না।
এরপর পেট্রাপোল বন্দর এলাকা দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতের ওপরে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে ২৭ মার্চ রাত থেকে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এই পথে বাংলাদেশিদের ভারত যাওয়া বন্ধ রয়েছে। তবে কূটনীতিক, অফিসিয়াল, জাতিসংঘ-আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন প্রকল্পের ভিসাধারীদের যাতায়াত সচল রয়েছে।