Bangladesh

People behind Sinha's biography should be found: PM Hasina

People behind Sinha's biography should be found: PM Hasina

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 30 Sep 2018, 06:30 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, সেপ্টেম্বর ৩০ : সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার আত্মজীবনী প্রকাশের পেছনে কারা রয়েছে তা খুঁজে বের করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 তিনি বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে জানি, কিন্তু আমি আপনাদের বলব না। বরং আমি আপনাদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে জানতে চাই এবং আমি চাই এ বই প্রকাশের পেছনে কারা রয়েছে তা আপনারা খুঁজে বের করবেন।’


প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।


বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিচারপতি সিনহার একটি আত্মজীবনী সম্প্রতি আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে।

 

এতে সাবেক প্রধান বিচারপতি তার পদত্যাগের বিভিন্ন কারণ তুলে ধরেছেন। ‘এ ব্রোকেন ড্রিম : রুল অব ল,’ হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’শীর্ষক এ বইয়ের কপিরাইট হচ্ছে ললিতমোহন-ধনাবাতি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের নামে।


শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ বইয়ের পা-ুলিপি কতবার বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে আনা হয় তা সাংবাদিকদের খুঁজে বের করতে হবে। এ বই প্রকাশনায় কারা অর্থ দিয়েছে এবং আপনাদের মতো কোনো সাংবাদিক এর সঙ্গে জড়িত কিনা এবং কী পরিমাণ অর্থ দিয়েছে তা অনুগ্রহ করে উন্মোচন করুন।’

 

তিনি বলেন, ‘কোনো বড় আইনজীবী এ বইয়ের পান্ডুলিপি সংশোধন করে দিয়েছেন কিনা অথবা কোনো সংবাদপত্র অথবা মালিক এর পৃষ্ঠপোষক কিনা তা আপনারা খুঁজে বের করুন।’


অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে একটি সরকার গঠন করা হতে পারে। তিনি বলেন, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সব রাজনৈতিক দল যদি চায় তাহলে আমরা তাদের প্রতিনিধি নিয়ে সরকার গঠন করতে পারি। তারা ক্ষমতাসীন অথবা বিরোধী দল কিনা সেটা কোনো বিষয় না। তবে নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে এখানে কোনো সংজ্ঞা নেই।’


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সাইবার অপরাধ এখন একটি আলোচ্য বিষয়। সব দেশ এ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে এ আইন প্রণয়ন করেছি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নয়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পর সাইবার অপরাধ এখন একটি বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’