Bangladesh
PM Hasina urges to make Islami tourism more expanded
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ঢাকা দ্য ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম-২০১৯’ উদযাপন উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন,‘আমি মনে করি মুসলিম উম্মাহর একসাথে কাজ করা একান্তভাবে প্রয়োজন। যাতে আমরা সারা বিশ্বে সকলের সাথে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একসাথে চলতে পারি। নিজেদের যেকোন সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে পারি। যাতে করে অন্য কেউ মুসলমানদের ভাগ্য নিয়ে খেলতে না পারে।’
শেখ হাসিনা আন্তঃ-ওআইসি পর্যটক প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংস্থাটির সদস্যভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভিসা সহজীকরণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং পর্যটনকেন্দ্রিক খাতগুলোর মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের ওপরও বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ওআইসিভূক্ত দেশগুলোর মুসলিম পর্যটক এবং পাশ্চাত্য দেশগুলোর জন্য বিশ্বের সববৃহৎ বালুময় সমুদ্রতট কক্সবাজারে পৃথক পর্যটন স্পট তৈরির প্রস্তাব করেন। তিনি বঙ্গপোসাগরের নিকটবর্তী দেশগুলোকে নিয়ে বাংলাদেশের একটি নৌট্যুরিজম রুট তৈরীর পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে ৪শ’ বছরের প্রাচীন নগরী ঢাকার মুসলিম ঐতিহ্য ও নিদর্শন নিয়ে একটি অডিও ভিজুয়াল পেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় দপ্তর ও বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সাবেক মন্ত্রী ও উপদেষ্টাসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেুৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনারগণ, কূটনৈতিক মিশনের সদস্যবৃন্দ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং অনুষ্ঠানে যোগদানকারী প্রায় ৩০টি দেশের পর্যটন মন্ত্রী ও তাদের প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি, ঢাকায় ওআইসি’র পর্যটন মন্ত্রীদের ১০ম সম্মেলনে গৃহীত ঢাকা ঘোষণায় ঢাকাকে ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম-২০১৯ হিসেবে নির্বাচন করা হয়। ৪ ওআইসিভূক্ত রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শীর্ষস্থান দখল করে ঢাকা। সম্মেলনে বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আজারবাইজানের ’গাবালা’কে ২০২০ সালের সিটি অব ট্যুরিজম হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ঢাকাকে সিটি অব টুরি্যজম ঘোষণাকে উদযাপনের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার এবং আজ বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিদেশি পর্যটকদের জন্য ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক মুসলিম নিদর্শনগুলো পরিদর্শন, কনসার্ট এবং হাতির ঝিলে লেজার শো এবং আতশবাজীর প্রদর্শন করা হচ্ছে।
ওআইসি’র ২০১৮ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে মুসলিম ট্যুরিস্টের সংখ্যা ১৫৬ মিলিয়ন যা ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়াবে ১৮০ মিলিয়ন। একই বছর সারা বিশ্বের জনসংখ্যার ২৬ শতাংশ হবে মুসলিম।