Bangladesh

Prawn farms swept away by Cyclone Amphan in Bagerhat

Prawn farms swept away by Cyclone Amphan in Bagerhat

নিজস্ব প্রতিনিধি | @banglalivenews | 21 May 2020, 01:50 pm
ঢাকা, মে ২১ : সুপার সাইক্লোন আম্ফানের প্রভাবে বাগেরহাটে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেয়া প্রায় তিন লাখ মানুষ বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। বুধবার রাতে ৭-৮ ফুটের জলোচ্ছ্বাসে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার শরণখোলা গ্রামের ৩৫/৩ পোল্ডারের ২শ মিটার রিংবাধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। তবে বৃহস্পতিবার সকালে পানি নেমে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাধ নির্মাণে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ-উজ্জামান।

এছাড়া ঝড়ে ভেসে গেছে জেলার ৪ হাজার ৬৩৫টি চিংড়ি ঘের। ক্ষতি হয়েছে আউস ধানসহ গ্রীষ্মকালীন সবজির।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বৃহস্পতিবার সকালে জানান, বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট অতিক্রম করে। ঝড়ে কিছু কাঁচা বাড়ি ও গাছপালা ভেঙে গেছে। ঝড়ের আগে জেলার ১ হাজার ৩১টি সাইক্লোন শেল্টার ও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৩ লাখ জনগণ বৃহস্পতিবার সকালে নিজ নিজ গৃহে ফিরতে শুরু করেছে। জেলা প্রশাসন থেকে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদফতর কাজ শুরু করেছ।

বাগেরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক রঘুনাথ কর বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আগেই জেলার বোরো ধান ঘরে তুলে নিতে পেরেছিলেন কৃষকরা। তবে ঝড়ে আউস ও গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্ষতি হয়েছে।

কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণের জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক জানান, ঝড়ে জেলার ৪ হাজার ৬৩৫টি মৎস্য ঘের ভেসে গেছে।

এতে জেলার মৎস্য চাষিরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরকারিভাবে ক্ষতি ধরা হয়েছে ৯০ লাখ টাকা। তবে বেসরকারি হিসাবে এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি বলে জানান চিংড়ি চাষিরা। জেলার চিংড়ি উৎপাদনের প্রধান এলাকা মোংলা, শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল ও সদর উপজেলায় এই ক্ষতি হয়েছে বলেন তিনি জানান।