Bangladesh
Prime Minister Sheikh Hasina reaches US
বিমানবন্দরের বাইরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রবাসী নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে বিক্ষোভ দেখাতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। দুই পক্ষের উপস্থিতিতে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ তাদের দুই দিকে সরিয়ে দেয়।
নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে উঠছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্ক হিলটন মিডটাউনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক সংবর্ধনায় তিনি যোগ দেবেন।
ঢাকা থেকে রওনা হয়ে শুক্রবার লন্ডনে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে একদিন কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান তিনি।
১০ দিনের এই সফরে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। রোহিঙ্গা সঙ্কটের টেকসই সমাধানের পথে প্রতিবন্ধকতাগুলো সেখানে তিনি বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরবেন।
অধিবেশনের ফাঁকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ছাড়াও একাধিক বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। জাতিসংঘে আসা বিশ্ব নেতাদের সম্মানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও তিনি যোগ দেবেন।
জাতিসংঘে এবারের সফরে ৫০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যবসায়ীদের ২০০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও তার সফরসঙ্গী হয়েছে।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ১৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশন শুরু হয়েছে। সেখানে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে সাধারণ বিতর্ক। এই বিশ্ব সংস্থার ১৯৩টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা তাতে অংশ নেবেন।
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের এবারের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘মেকিং দি ইউএন রিলেভেন্ট টু অল পিপল: গ্লোবাল লিডারশিপ অ্যান্ড শেয়ারড রেসপনসিবিলিটিস ফর পিসফুল, ইকুইটেবল অ্যান্ড সাসটেইনেবল সোসাইটিস’। শেখ হাসিনা ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের পক্ষে তার বক্তব্য তুলে ধরবেন। গতবারের মতো এবারও তার ভাষণে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ গুরুত্ব পাবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী জানিয়েছেন।
প্রতিবারের মত এবারও সাধারণ পরিষদে ভাষণের পরদিন ২৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে সংবাদ সম্মেলনে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। পরদিন শনিবার নিউ ইয়র্ক থেকে রওনা হয়ে লন্ডনে দুদিন কাটিয়ে ১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।