Bangladesh
উখিয়ার পথে খালেদা
ঢাকা, নভেম্বর ১১: বাংলাদেশ ন্যাশানালিশট পার্টির (বিএনপি ) প্রধান খালেদা জিয়া রবিবার সকালে কক্স বাজারের উখিয়া উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা দেন সেখানকার আক্রান্ত বৌদ্ধ মন্দির ও অঞ্চল পরিদর্শন করতে।
তিনি প্রথমে দীপাঙ্কুর বৌদ্ধ মন্দিরে যাবেন যেটি সেপ্তেম্বর ২৯এ তছনছ করা হয়।
পরে খালেদা উখিয়া উপজেলার কেন্দ্রস্থানে একটি সমাবেশে বক্তৃতা দেবেন।
খালেদা শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামে বৌদ্ধ মন্দিরগুলি ও রামুর স্থানীয় জায়গাগুলি, যেগুলো ৪০ দিন আগে হামলায় বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল, পরিদর্শন করেন।
সংসদের প্রধান বিরোধী নেত্রী শুক্রবার বিকেল চারটে নাগাদ তাঁর গুলশান আবাসন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।
প্রায় মধ্যরাতে তিনি চট্টগ্রাম পৌঁছন।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সাথে রয়েছেন মউদুদ আহমেদ ও মির্জা ফাকরুল ইসলাম আলামগির সহ বিএনপির উচ্চ নেতারা।
বিএনপির সমর্থকরা প্লাকার ও ব্যানার হাতে ঢাকা- চট্টগ্রাম হাইওয়ের যাত্রাবাড়ী, কাঁচপুর, নারায়ণগঞ্জ, কমিল্লা, ফেনী ও চট্টগ্রাম এলাকাইয় রাস্তার দু ধারে দাঁড়িয়ে থাকে খালেদাকে স্বাগত জানাতে।
চট্টগ্রামে পৌঁছে খালেদা সেখানকার উচ্চ বিএনপি নেতাদের সাথে দেখা করেন সার্কিট হাউসে।
এই দু-দিনের সফরে খালেদা চাকরিয়া উপজেলায় একটি পথপার্শ্বস্থ সমাবেশে বক্তৃতা দেন শনিবার সকালে।
দুপুরে তিনি রামু পৌঁছে সেখানকার আক্রান্ত মন্দিরগুলি ও অঞ্চল পরিদর্শন করে একটি সৌহার্দ সমাবেশে ভাষণ দেন।
তিনি শনিবার কক্স বাজার সার্কিট হাউসে থাকেন ও আজ উখিয়া উপজেলাতে একটি সমাবেশে বক্তৃতা দেবার পর তিনি ঢাকায় ফিরে যাবেন।
অক্টোবর ১০এ বৌদ্ধ নেতারা খালেদার সাথে তাঁর গুলশান অফিসে দেখা করে আক্রান্ত জায়গাগুলি পরিদর্শন করতে আবেদন করেন।
সেপ্টেম্বর ২৯এর রাতে একদল হিংসাত্মক লোক ১৮টি বৌদ্ধ মন্দির ও মঠ, এবং ৫০টি বাড়ি ধ্বংস করে রামুতে।
বলা হচ্ছে এই আক্রমণের উৎস ফেসবুকের একটি ছবি এখানে কোরানের অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
অনেক বৌদ্ধ মূর্তি লুট করা হয় মন্দির ও মঠগুলি থেকে।
পরের দিন কিছু লোক পাতিয়া উপজেলায় দুটি মঠ ও একটি হিন্দু মন্দিরে তাণ্ডব চালায়, উখিয়ায় দুটি মঠে ও কক্স বাজারের তেকনাফ উপজেলায় ৫টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
অক্টোবর ৮এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামুতে যান এবং বিএনপির নেতাদের এই ঘটনার জন্য দায়ী করেন।