Bangladesh

বিটি বেগুনকে 'না' করু্নন ঃ হাসিনাকে বিজ্ঞানীরা

বিটি বেগুনকে 'না' করু্নন ঃ হাসিনাকে বিজ্ঞানীরা

| | 29 Aug 2013, 11:51 am
ঢাকা, অগাস্ট ২৯ ঃ বাংলাদেশে অপরীক্ষিত বিটি বেগুনের চাষ করার অনুমতি না দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানালেন বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী।

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুটি পৃথক চিঠিতে মোট বারোজন বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, জিন পরিবর্তিত বিটি বেগুন হিসেবে কতটা নিরাপদ, সে ব্যাপারে যথেষ্ট পরীক্ষা এখনও পর্যন্ত হয়নি, সুতরাং খাদ্য হিসেবে এই বেগুন মানুষের স্বাস্থ্যের চূড়ান্ত ক্ষতি করতে পারে।

 
বিজ্ঞানীরা তাঁদের চিঠি দুটির প্রতিলিপি কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরি এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাসান মাহমুদের কাছেও পাঠিয়েছেন।
 
গত ২১শে অগাষ্ট ক্যালিফোর্নিয়ার সাল্ক ইনস্টিট্যুট ফর বায়োলজিকাল স্টাডিজের অধ্যাপক ডেভিড শ্যুবার্ট এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিটিতে আরও আরও এগারোজন বিজ্ঞানীর সই আছে।
 
স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আছেন কিংস কলেজ, লন্ডন স্কুল অফ মেডিসিনের জিন এক্সপ্রেশন অ্যান্ড থেরাপি গ্রুপের অধ্যাপক মাইকেল আন্তোনিউ, রুরাল ডেভলপমেন্ট অফ হাঙ্গেরির মানব পুষ্টি ও জিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপিকা সুসান বার্দোক্‌জ, হায়েদ্রাবাদের সেন্টার ফর মলিকিউলার বায়োলজির প্রাক্তন ডিরেক্টর পুষ্পা এম ভার্গব, অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানী জুডি কারম্যান, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যান্টারবেরির সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড রিসার্চ ইন বায়োসেফটির অধ্যাপক জ্যাক হেইনম্যান, ওয়র্ল্ড ফুড পুরষ্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী অধ্যাপক হান্স আর হেরেন, প্রবীণ সুইস বিজ্ঞানী অ্যাঞ্জেলিকা হিলবেক, অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রবার্ট মান, প্রোটিন রসায়নবিদ, অধ্যাপক আর্পাড পুসঝতাই এবং ফ্রান্সের অধ্যাপকে জিলে এরিক সেরালিঁ। 
 
এছাড়া ম্যাকনাইট ইউনিভার্সিটির ইনসেক্ট ইকোলজির অধ্যাপক ডেভিড অ্যান্ডো একই অনুরোধ জানিয়ে ১৫ই অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে আলাদা একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
 
বিকল্প উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র, উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারনী গবেষণা বিজ্ঞানীদের অনুবমতি নিয়ে চিঠি দুটির বিষয়বস্তু সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেছে।
 
সংস্থার একজিকিউটিভ ডিরেক্টর ফরিদা আখতার সাংবাদিকদের বলেন, ভারত অনির্দিষ্টকালের জন্য বিটি বেগুন চাষ স্থগিত রাখলেও এবং ফিলিপিন্সের সুপ্রিম কোর্ট সে দেশে পরীক্ষামূলক চাষের উপর নিষধাজ্ঞা জারি করলেও বাংলাদেশ বাণিজ্যিকভাবে বিটি বেগুন চাষের দিকে এগোচ্ছে।
 
পরিবেশের দিক দিয়ে বিটি বেগুন চাষ ঝুঁকিপূর্ন, এই বেগুন উৎপাদনের খরচও বেশি এবং এর চাষ হলে বীজের জন্য চাষিদের একটি মাত্র সংস্থার উপরই নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে বলে তিনি জানান।
 
ফরিদা আখতার বলেন, সংবাদপত্রে বাংলাদেশের খবর দেখে উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা ইউ বি আই এন জি-র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এর কারন, এই সংস্থা পরিবর্তিন জিন-সমৃদ্ধ বেগুনের বীজ চাষীদের মধ্যে বিতরণ করার যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে, তার বিরোধিতা করে আদালতে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছে।
 
তাঁর মতে, ভারতের মহারাষ্ট্র হাইব্রিড সিড কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে \'মনসান্টো টেকনোলজি\'র সাহায্যে তৈরি বিটি বেগুনের বাজার তৈরি করার জন্য বাংলাদেশকে \'টার্গেট\' করা হয়েছে।