Bangladesh

Sylhet: PM Hasina allots Tk27.66 lakh for people with disabilities
শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)।

Sylhet: PM Hasina allots Tk27.66 lakh for people with disabilities

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 29 Jul 2020, 04:27 am
Prime Minister Sheikh hasina has allotted Tk27.66 lakh for people with disabilities in four villages in Sylhet. At least 461 individuals will benefit from the scheme and will get Tk2,500 in cash.

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামপাশা ইউনিয়নের ৪৬১ জন প্রতিবন্ধীকে জনপ্রতি দুই হাজার ৫০০ টাকা এবং প্রতি পরিবারের জন্য একটি লুঙ্গি ও একটি শাড়ি উপহার হিসেবে পাঠাবার জন্য ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করেছেন।
এছাড়া আমতৈল গ্রামের প্রতিবন্ধী শিশুদের সুস্থতা এবং ভবিষ্যতে সুস্থ প্রজন্ম নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী বেশকিছু নির্দেশনা দেন। গ্রামের সব প্রতিবন্ধীর সমস্যা যথাযথভাবে চিহ্নিত করে বিশেষ প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আনতে বলেন। এছাড়া ওই গ্রামের সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাউন্সেলিং করা; নিজ বাসস্থানসহ আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা; খাদ্যের সকল পুষ্টিমান নিশ্চিত করতে ভিটামিন সাপ্লিমেন্টারি ওষুধ সরবরাহ এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে গ্রামটির সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় মাটি ভরাট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজ সিস্টেম চালু এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের নির্দেশনা দেন। প্রতিবন্ধীদের চাহিদা মোতাবেক বহুমাত্রিক শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করে প্রতিবন্ধী স্কুল স্থাপন ও প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ, চাহিদামাফিক প্রয়োজনীয় সহায়ক উপকরণ যেমন- হুইল চেয়ার, ট্রাইসাইকেল, হেয়ারিং ডিভাইস ও দৃষ্টি সহায়ক উপকরণ সরবরাহের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
এক গ্রামে এত বেশিসংখ্যক প্রতিবন্ধী কেন এমন প্রশ্নে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস জানায়, এটি একটি ঘনবসতিপূর্ণ গ্রাম। গ্রামের পরিবেশ খুবই অস্বাস্থ্যকর। দারিদ্র্য, পুষ্টিহীনতা, মাতৃকালীন স্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্য সম্পর্কে অসচেতনতার কারণে এখানকার অনেক শিশু বিকলাঙ্গ হয়ে জন্ম নিচ্ছে। কেউ বা আবার জন্মের পর বিভিন্ন অসুখে ভুগে প্রতিবন্ধী হচ্ছে। এছাড়া এখানে জন্মহারও অনেক বেশি।
তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর বলেন, এ গ্রামের প্রায় সবাই একে-অন্যের আত্মীয়কে বিয়ে করছেন। বংশগত কারণে এ সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। গ্রামটিতে নিকটাত্মীয়দের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কের প্রবণতা বেশি। এ তথ্যের সত্যতাও মিলেছে গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে।