Bangladesh

UN,World Bank chiefs arrives in Cox's Bazar

UN,World Bank chiefs arrives in Cox's Bazar

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 01 Jul 2018, 11:37 pm
ঢাকা, জুলাই ২ঃ রোহিঙ্গা শিনির পরিদর্শন করতে সোমবার কক্সবাজারে পৌঁছেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।

সোমবার   বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে এই দুই নেতা কক্সবাজারে এসে পৌঁছান।

 

তাদের সাথে এই সফরে ররয়েছেন  পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।

 

কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি ক্যাম্প আজ অনাদের ঘুরে দেখা কথা আছে।

 

বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে গিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস যিনি এই সময় বাংলাদেশ সফরে এসেছেন রোববার বলেন যে উনি মনে করেন এই দেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে।

 

আজকে  জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর  পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন।

 

 

জাতিসংঘের মহাসচিব গতকাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছান।

 

বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম আজ শহরে পৌঁছান।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে ওনারা দুইজনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

 

বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের এই দেশে আশ্র্য দেওয়ার জন্য দুজনেই এই দেশের মানুষের মহানুভবতার প্রশংসা করেছেন।

 

রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে, তাদের দুর্দশার কথা তাদের মুখ থেকে শুনতে বাংলাদেশে এসেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।

 

গুতেরেস শনিবার দিবাগত রাত ২টার পর কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বিমানবন্দরে জাতিসংঘ মহাসচিবকে স্বাগত জানান।

 

বিমানবন্দর থেকে র‌্যাডিসন হোটেলে যান আন্তোনিও গুতেরেস।

 

দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে এই হোটেলেই থাকবেন তিনি। তার আগে বিকালে ঢাকা পৌঁছান বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম।

 

তিনিও র‌্যাডিসন হোটেলে উঠেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্ব ব্যাংক প্রধান আগামীকাল সোমবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।

 

এমন এক সময়ে তারা এই সফরে এলেন যখন রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ নিয়ে মিয়ানমার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমশ বাড়ছে।

 

সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা চার লাখের মতো রোহিঙ্গা গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে।

 

গতবছর ২৫ অগাস্ট রাখাইনে নতুন করে দমন অভিযান শুরুর পর রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে আরও প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা।


জাতিসংঘ ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ বলে আসছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ রোহিঙ্গা সঙ্কটকে এশিয়ার এ অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকার গত বছরের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করলেও নানা জটিলতায় বিষয়টি এগোয়নি।


জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলে আসছে, বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে থাকা শরণার্থীরা যাতে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে এবং সম্মানের সঙ্গে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারে এবং এই প্রত্যাবাসন যাতে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণ করে হয়, তা নিশ্চিত করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে মিয়ানমারকে। জাতিসংঘ মহাসিচব গুতেরেসও সে সময় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রাখতে ওই চুক্তি করার সময় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয় সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে সঙ্গে রাখা জরুরি ছিল।

 

এরমধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি করেছে ইউএনএইচসিআর।

 

এদিকে কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বাংলাদেশকে ৪৮ কোটি ডলার অনুদান দেওয়ার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।