Bangladesh
UNSC working for Rohingya security
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফরে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখে যাওয়ার পর সোমবার ওয়াশিংটনে পরিষদের এক বৈঠকে এই আহ্বান জানানো হয়।
বৈঠকে জাতিসংঘে মার্কিন দূত ক্রমবর্ধমান মানবাধিকার সংকট নিরসনে সত্যিকার পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পরিষদে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রস্তাব গ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের কারণেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিলম্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে মিয়ানমার।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে সশস্ত্র হামলার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
খুন, ধর্ষন আর অগ্নিসংযোগের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা।
মিয়ানামর কর্তৃপক্ষ যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে আসলেও সম্প্রতি সরেজমিনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করে রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখে গেছেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা।
জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেছেন, ‘আমরা সবাই রোহিঙ্গাদের দুর্ভোগের শিকার হওয়ার কথা শুনেছি যা ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ হিসেবেই বিবেচনা করা যেতে পারে। এবার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা নিজের চোখে দেখে এসেছেন । আর সে কারণেই এখন পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া অন্য উপায় নেই।’
নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুর্ভোগের প্রত্যক্ষ বিবরণ শুনেছেন জানিয়ে নিকি হ্যালি বলেন, রাখাইন রাজ্যের সংকট ও রোহিঙ্গাদের প্রত্যক্ষ করা নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের জন্য সত্যিই কঠিন ছিল। এই সফরের অন্যতম মূল কারণ ছিল সংকট নিয়ে মিয়ানমার সরকারের চলমান নিস্পৃহতা।
মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া বিচার করে দেখলে দেখা যাবে, এই সংকটে তারা তাদের ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
Image: UN website