Bangladesh

রাষ্ট্রপতির কাছে প্রানভিক্ষা চাইলেন মুফতি আব্দুল হান্নান ও দুই সহযোগী

রাষ্ট্রপতির কাছে প্রানভিক্ষা চাইলেন মুফতি আব্দুল হান্নান ও দুই সহযোগী

| | 27 Mar 2017, 11:32 pm
ঢাকা, মার্চ ২৮ঃ ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তিনজনকে হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিনেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও তার দুই সহযোগী নিজেদের এই ঘটনায় দোষ স্বীকার করেছেন।

দোষ স্বীকার করবার পাশাপাশি, ওনারা দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে নিজেদের প্রানের ভিক্ষা চেয়েছেন।

 

এই মুহূর্তে, হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলকে রাখা হয়েছে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে।

 

অন্যদিকে, দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে এই মুহূর্তে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।

 

প্রসঙ্গত, এই তিনজন সোমবার কারা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রাণভিক্ষার লিখিত আবেদন করেছেন।

 

তবে, রাষ্ট্রপতি যদি এই তিনজনের করা আবেদন নাকচ করে দেন তবে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকবে না।

 


কিছুদিন আগে, দেশের এক আদালত একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ের শেষে সিলেটে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা ও তিনজনকে হত্যার দায়ে হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ তিন জঙ্গিকে ফাঁসিকাষ্ঠে যেতে হবে।

তিনজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে দণ্ডিত ব্যক্তিরা যে আপিল করেছিলেন সেটি খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।

 

আদেশটি দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ।

 

শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার ওরফে রিপন মৃত্যুদণ্ডাদেশ পেয়েছেন।

 

এই পদক্ষেপের শেষে এই ব্যাক্তিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আইনগত কোনো বাধা থাকলো না।


২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারের ফটকের কাছে গ্রেনেড হামলার ঘটনাতে আহত হয়েছিলেন ৭০ জন ব্যাক্তি।

 

তাদের মধ্যে ছিলেন  ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী।

 

এই ঘটনায় তিনজন প্রাণ হারান।

 

এই হামলার ঘটনায় পরে করা মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল জঙ্গিনেতা মুফতি হান্নান, জঙ্গি শরিফ শাহেদুল ও দেলোয়ারকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন।