Bangladesh

কুয়েতে এমপি পাপুলের মামলার রায় ২৮ জানুয়ারি
ফাইল ছবি সস্ত্রীক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল

কুয়েতে এমপি পাপুলের মামলার রায় ২৮ জানুয়ারি

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 27 Nov 2020, 09:25 pm

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২৭ নভেম্বর ২০২০: লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে অর্থ ও মানবপাচার মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন কুয়েতের একটি আদালত। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) এ মামলার শুনানি শেষে কুয়েতের অপরাধ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল-ওসমান এ তারিখ ঘোষণা করেন।

অর্থ ও মানবপাচার এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে পাপুলকে গ্রেফতার করে দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ১৭ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে করা মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি শুরু হয়।

অনুসন্ধানে কুয়েতের সিআইডি জানতে পারে, কুয়েতে পাপুলের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি কুয়েতে ভিসা বাণিজ্যের নামে মানবপাচার ও অবৈধ মুদ্রাপাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত।

সিআইডি কর্মকর্তারা পাঁচ বাংলাদেশিকে জেরা করে জানতে পারেন, তাদের প্রত্যেকেই কুয়েত যেতে পাপুলকে তিন হাজার দিনার করে দিয়েছিলেন। এছাড়া প্রতিবছর তারা ভিসা নবায়নের জন্য তাকে বাড়তি টাকা দেন। তাদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও অবৈধ মুদ্রাপাচারের অভিযোগ আনেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

পাপুলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকা এবং তাকে সহযোগিতা করার অভিযোগে কুয়েতের পার্লামেন্টের দুই সদস্য সাদাউন হামাদ ও সালাহ খুরশিদ, জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

ইতোমধ্যে মুচলেকা দিয়ে আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন কুয়েতের দুই সংসদ সদস্য। আর বৃহস্পতিবার জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

গ্রেফতারের পর এমপি পাপুলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মারাফিয়া কুয়েতিয়াকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে কুয়েত সরকার। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সরকারের কয়েকটি চুক্তি ও কাজের আদেশও বাতিল করা হয়েছে। গত মার্চে কুয়েতে যাওয়ার পর থেকে এমপি পাপুল দেশটির সিআইডি কর্মকর্তাদের নজরবন্দি ছিলেন বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল সাধারণ পাসপোর্ট নিয়ে কুয়েতে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশেও পাপুল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়ে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এদিকে পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি সেলিনা ইসলাম ও তার মেয়ে ওয়াইফা ইসলামের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করেছে দুদক। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) সম্পদের হিসাব চেয়ে পৃথক নোটিশ পাঠানো হয়।