Bangladesh

We have failed to create a culture of election: CEC
Amirul Momenin

We have failed to create a culture of election: CEC

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 09 Jan 2020, 06:54 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জানুয়ারি ৯ : প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, 'আমরা নির্বাচনী কালচার গড়ে তুলতে পারিনি। '৪৭-এর পর থেকে এভাবেই চলে আসছে। তাই ইভিএমএ ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইভিএমে ভোট হলে ভোটারদের মধ্যে ভীতি থাকবে না। একজনের ভোট অন্যজনে দিতে পারবে না।'

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সিইসি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, 'অভিযোগ থাকবে, তবে অভিযোগের ভিত্তি থাকতে হবে। নির্বাচনে অনেক ধরনের সমস্যাই হয়। এর আগের অনেক নির্বাচনে দেখা গেছে, সন্ধ্যায় ভোট গণনায় দেখা গেল একজন নির্বাচিত হয়েছে, মধ্যরাতে আরেক জনের নাম ঘোষণা করা হলো, সকালে উঠে জানা গেছে নির্বাচিত হয়েছে আরেকজন।'

ইভিএমে ভোট চুরির সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, 'নতুন কোনো প্রযুক্তি শুরু হলে কিছুটা বিতর্ক থাকে, কিন্তু আমার মনে হয়, কয়েকটি নির্বাচনের পরে সব মানুষের মধ্যে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং সন্দেহ কেটে যাবে। ইভিএমে ভোট চুরির কোনো সুযোগ নেই। ব্যালট বক্স ছিনতাইয়েরও সুযোগ নেই। একজনের ভোট অন্যজনে দিতে পারবে না। একজন আরেকটি ভোট দেওয়ারও সুযোগ পাবেন না।'

তিনি বলেন, 'একজন ভোটার তার স্মার্টকার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ভোটার নম্বর ব্যবহার করে ভোট দিতে পারবেন। এমনকি আঙুলের ছাপ দিয়েও ভোট দেওয়া যাবে।'

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন সুষ্ঠু হবে দাবি করে সিইসি বলেন, 'অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সে লক্ষ্যেই এখানে ইভিএমে ভোট নেয়া হচ্ছে। আমি মঙ্গলবার বোয়ালখালী গিয়েছিলাম। আসার পথে দেখলাম প্রার্থীদের পোস্টার পাশাপাশি লাগানো। এখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানলাম নির্বাচনী পরিবেশ ভালো রয়েছে। প্রার্থীদের মাঝে কোনো গ্রুপিং সৃষ্টি হয়নি। মনোমালিন্যের ঘটনাও ঘটেনি। যারা প্রার্থী তাদের মধ্যে ভালো আন্ডারস্ট্যান্ডিং রয়েছে। নিজেরা কোনো রকম সহিংসতায় যাবেন না। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য তারা দুজনই আন্তরিক।'