Bangladesh

We have started preparing for Bangabandhu 2: Hasina

We have started preparing for Bangabandhu 2: Hasina

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 06 Jun 2018, 09:13 am
ঢাকা, জুন ৬ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ কিছুদিন আগে বাণিজ্যিক স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ করেছে।


জাতীয় সংসদে বুধবারের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে  উত্তর দেওয়ার সময় হাসিনা এি কথাগুলি বলেছেন।

 

“একটি স্যাটেলাইট তৈরি করতে ৫/৬ বছর লেগে যায়। সেই জন্য বঙ্গবন্ধু-২ আমরা তৈরি করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি," হাসিনা বলেন।

 

"একটা থাকলে আরেকটি যেন চালু হয়ে যেতে পারে সেটা মাথায় রেখেই ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। দ্বিতীয়টির টাইম শেষ হয়ে এলে আমরা বঙ্গবন্ধু-৩ এ যাবো। এভাবে পর্যায়ক্রমে আমাদের ধারাবাহিকতা চালিয়ে যাব," উনি বলেন।

 

বাংলাদশের প্রত্যন্ত এলাকা ও দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে এখনও ইন্টারনেট পৌঁছায়নি।

 

ইন্টারনেট সেবার বাইরে রয়েছে দেশের ৭৭২টি ইউনিয়ন। যার মধ্যে ২২৬টি একেবারে দুর্গম এলাকায়। এরমধ্যে কয়েকটি ছিটমহলও রয়েছে। এমন সব এলাকায় দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১-এর মাধ্যমে ইন্টারনেট পৌঁছানো হবে।


সরকার এসব এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে দিয়ে প্রযুক্তি বৈষম্য কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ইন্টারনেট পৌঁছালে ওইসব এলাকার শিক্ষার্থী, তরুণরা জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও প্রোগ্রামিংয়ে পিছিয়ে থাকবে না। দূরের শিক্ষার্থীরা অনলাইন স্কুলে পড়বে। ডাক্তার দেখাতে জেলা শহর বা ঢাকায় আসতে হবে না।

 

টেলিমেডিসিনের (দূরচিকিৎসা) মাধ্যমে এলাকায় বসে রোগী নামকরা চিকিৎসক দেখাতে পারবেন, পাবেন ব্যবস্থাপত্র। দ্বীপ এলাকার জেলেদের মাছের দাম জানার জন্য অন্যের পেছনে ছুটতে হবে না, স্মার্টফোনের মাধ্যমে বা বাজার থেকে জেনে নিয়ে ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারবেন মাছ।


টেলিযোগাযোগ সূত্র জানায়, সরকারের প্রথমম লক্ষ্য বাড়ি বাড়ি ইন্টারনেট।

 

এখনও দেশের ৭৭২টি ইউনিয়ন কানেক্টিভিটির আওতায় নেই।

 

এরমধ্যে আবার ২২৬টি আবার অতি দুর্গম এলাকায়। এই ইউনিয়নগুলো এবং ছিটমহলেও ইন্টারনেট পৌঁছানো হবে। যেসব দুর্গম এলাকায় ক্যাবলের (ফাইবার অপটিক) মাধ্যমে ইন্টারনেট পৌঁছানো যাবে না সেখানে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট দিয়ে পৌঁছানো হবে।


এরমধ্যে কয়েকটি দ্বীপ এলাকা, ছিটমহল, দুর্গম পাহাড়ি এলাকা রয়েছে।


জানা গেছে, সার্ক স্যাটেলাইট (সাউথ এশিয়ান স্যাটেলাইট) বাংলাদেশের ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। যদি সার্ক সাটেলাইট বাংলাদেশ ব্যবহার করতে পারে তাহলে দ্বীপ এলাকা, ছিটমহল, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সার্ক স্যাটেলাইট ব্যবহার করে ইন্টারনেট পৌঁছানো হবে। আর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে এ কাজে ব্যবহার না করে তখন ব্যাকআপ হিসেবে রাখা হবে।

 

সার্ক স্যাটেলাইট ব্যবহার করা সম্ভব না হলে তখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটই হবে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর ইন্টারনেটের উৎস।

 


প্রসঙ্গত, এরই মধ্যে দেশের ১ হাজার ২০০ ইউনিয়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। এছাড়া সরকারের ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ২ হাজার ৬০০ ইউনিয়নে কানেক্টিভিটি দেওয়া হয়েছে।