Bangladesh

Why protest is still going on after all demands are accepted: Hasina

Why protest is still going on after all demands are accepted: Hasina

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 13 Oct 2019, 09:03 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, অক্টোবর ১৩ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবির সবগুলোই তো মেনে নিয়েছেন ভিসি। তারপরও নাকি তারা আন্দোলন করবে। কেন করবে জানি না। এরপর আন্দোলন করার কি যৌক্তিকতা থাকতে পারে?

শনিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মহিলা শ্রমিক লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


শেখ হাসিনা বলেন, যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘত্যাকা- ঘটায় তাদেরকে যখন পুরস্কৃত করা হয় বা যারা এ ধরনের ঘত্যাকা- ঘটায় তাদেরকে যখন রক্ষা করা হয় তখন সেই সমাজ থেকে এইগুলো দূর করা অত্যন্ত কঠিন কাজ হয়ে যায়।


তিনি বলেন, আমরা কিন্তু পিছিয়ে থাকিনি। কোন্ দল করে সেটা না। খুনিকে খুনি হিসেবেই আমরা দেখি।

অন্যায়কারীকে অন্যায়কারী হিসেবেই আমরা দেখি। অত্যাচারীকে অত্যাচারী হিসেবেই আমরা দেখেছি। খবরটা পাওয়ার সাথে সাথে আমি কারো আন্দোলনেরও অপেক্ষা করিনি, কারো নির্দেশেরও অপেক্ষা করিনি। সঙ্গে সঙ্গে আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি। এদেরকে গ্রেফতার এবং ভিডিও ফুটেজ থেকে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য। এই তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশ পড়লো বিপদে। এই ভিডিও ফুটেজ যখন পুলিশ সংগ্রহ করছে তখন তারা বাধা দিয়েছিল। কেন বাধা দিয়েছিল আমি জানি না।


তিনি বলেন, আমার কাছে পুলিশের আইজিপি ছুটে আসেন, জানতে চান কী করবো? আমি বললাম তারা কী চায়? বললেন, তারা কপি চায়। আমি বললাম কপি করে তাদের দিয়ে দাও। তোমরা তাড়াতাড়ি ফুটেজটা নাও। ফুটেজটা নিলেই তো আমরা আসামি চিহ্নিত করতে পারবো, ধরতে পারবো। কে গেছে না গেছে দেখতে পারবো।


শেখ হাসিনা বলেন, তিন চার ঘণ্টা সময় যদি নষ্ট না করতো তাহলে আসামীরা  আরো আগেই ধরা পড়তে পারতো। মনে হলো আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হলো কি-না, এটার জবাব ওই আন্দোলন যারা করেছে তারা বলতে পারবে, আমি বলতে পারবো না। আমি কিন্তু এক মিনিটও দেরি করি নাই। খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এ ধরনের অন্যায় কখনো এটা মেনে নেওয়া যায় না।


তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল জিয়াউর রহমান খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে এরশাদের আমলে সব সময় ছিল একটা অস্ত্রের ঝনঝনানি। মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। আমি শুধু জিজ্ঞেস করতে চাই, এত ছাত্র ঘত্যা হয়েছে কয়টার বিচার কে করেছে? সেই ৭৪ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে করেছে। আর যখনই আমরা ক্ষমতায় এসেছি তখনই আমরা সাথে সাথে বিচার করেছি। এর বাইরে কেউ আজ পর্যন্ত বলতে পারবে কোনো বিচার হয়েছে?


বুয়েট ছাত্রী সাবিকুন নাহার সনি হত্যার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন কে প্রতিবাদ করলো? তখন তো আমাদের বুয়েটের যে অ্যালাইমনাই অ্যাসোসিয়েশন তাদেরকে তো নামতে দেখি নাই। প্রতিবাদ করতে দেখিনি তাদের, তখন তারা কথা বলেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সবার কথা বলার অধিকার আছে। বলতে পারে, অন্তত এই সুযোগটা আছে।


শেখ হাসিনা বলেন, যখন জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় জাতির পিতার খুনিদের যে পুরস্কৃত করলো। যুদ্ধাপরাধীদের যারা ছেড়ে দিল। সাত খুনের আসামিকে যারা নেুা বানালো কে কে তখন প্রতিবাদ করেছে? তখন মানবাধিকারের চিন্তা কোথায় ছিল? তখন ন্যায়-নীতি বোধ কোথায় ছিল? তাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা। তিনি বলেন, আমাদের কথা একেবার স্পষ্ট, কোনো অন্যায় অবিচার আমরা সহ্য করবো না। অতীতে করি নাই, ভবিষ্যতেও করবো না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ রাখতে হবে।