Bangladesh

Writ to know the reason behind 4000 cases

Writ to know the reason behind 4000 cases

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 24 Sep 2018, 07:23 am
ঢাকা, সেপ্টেম্বর ২৪ : চলতি মাসে সারাদেশে সারাদেশে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা চার হাজার মামলা এবং তিন লাখেরও বেশি মানুষকে আসামি করার কারণ জানতে চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে একই সঙ্গে এ বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্রতিনিধি রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া এসব ‘ভুতুড়ে’ মামলা দায়েরের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে রুল জারিরও আরজি জানানো হয়েছে।


রোববার হাইকোর্টেও সংশ্লিষ্ট শাখায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোটে নিতাই রায় চৌধুরী ও বিএনপির আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বাদী হয়ে এই রিট করেন। পরে খন্দকার মাহবুব হোসেন জানান, রিটের শুনানিতে ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদসহ জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা অংশ নেবেন। সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও আহমদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট আবেদনের উপর শুনানি হতে পারে।


তিনি বলেন, চলতি মাসের শুরু (১ সেপ্টেম্বর) থেকে এখন পর্যন্ত এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলা দায়ের করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে ঢালাওভাবে এ ধরণের কাল্পনিক মামলা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী দলকে চাপে রেখে নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করা। প্রায় চার হাজার মামলায় তিন লাখ বিরোধী নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে আবেদনকারীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অগণিত মানুষের বিরুদ্ধে ‘ভূতুড়ে’ মামলা করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই ধরণের ‘কাল্পনিক’ মামলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে রিট আবেদনে।


এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় আবেদনকারীসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে এ ধরণের মামলা দায়ের থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা জারির আবেদন করা হয়েছে। এছাড়াও রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে করা এসব মামলার তদন্ত থেকে পুলিশকে বিরত থাকার নির্দেশনা জারির আর্জি জানানো হয়েছে।