Bangladesh
Zia one of the main conspirators in Bangabandhu assassination: Speakers at AL webinar
বুধবার রাতে প্রচারিত ওয়েবিনারের বিষয়বস্তু ছিলো ‘৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশ : বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন’। পসন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের সহযোগিতায় এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় আয়োজিত এই ওয়েবিনারের অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাহরিয়ার আলম এমপি, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ বদরুল আহসান, কলামিস্ট ও সাবেক ছাত্রনেতা সুভাষ সিংহ রায়, অস্ট্রেলীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর শামস রহমান এবং লেখক ও গবেষক হাসান মোরশেদ।
মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে কখনো সফল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দাবি করতে পারবো না, যতদিন পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেষ খুনিকে আইনের আওতায় আনতে না পারবো। এটা যে কত বড় গ্লানি জাতি হিসেবে, তার চেয়ে বড় গ্লানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।
সুভাষ সিংহ রায় বলেন, ৯ এপ্রিল ১৯৭৯ সালে পার্লামেন্টে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের বিচারের পথ বন্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেছিল।
এরপরে ১৯৯৬ সালে জনগণের সরকার আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন সংসদে এই আইন নিয়ে সরকারের আইনমন্ত্রী ইনডেমিটি আইন বিলটি পেশ করেছিলো তখন বি এন পি সংসদে ওয়াক আউট করেছিলো।’ তিনি বলেন, ‘ইনডেমনিটি দেওয়ার যে বজ্জাত অভ্যাস এটা বিএনপির জন্মলগ্ন থেকেই।’
সৈয়দ বদরুল আহসান বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৫ই আগস্টের ঘটনাটি জানতো বলে অনেকে মনে করেন। তখন এম্বাসিতে ফিলিপ চেরীর সাথে খুনি চক্র কয়েকবার দেখা করেছেন। ফারুক রহমান গাদ্দাফির সাথে দেখা করেছিলো। ১৯৭৩ সালেই তার পরিকল্পনা ছিল একটা কিছু ঘটাবে। তারা লিবিয়ায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। লিবিয়ার কানেকশনটা বজায় রেখেছে।
প্রফেসর শামস রহমান বলেন, জিয়া ১৫ই আগস্টের মূল ষড়যন্ত্রকারীদের একজন ছিলেন।
হাসান মোর্শেদ বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট থেকে নভেম্বর ৩ তারিখ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর খুনী সামরিক অফিসাররা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ছিলো। বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের ১ সপ্তাহের মধ্যে জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনীর প্রধান করে সামরিক গোষ্ঠী। বঙ্গবন্ধুর খুনীরা দেশ থেকে চলে যেতে চায় যুক্তরাষ্ট্রে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাদের আশ্রয় না দিলে তারা ব্যাংকক হয়ে লিবিয়া চলে যায়।
দলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব ছাড়াও অনুষ্ঠানটি সরাসরি প্রচারিত হয় বিজয় টিভি, বিডি নিউজ২৪, বাংলা নিউজ২৪, বার্তা২৪, সমকাল, যুগান্তর, ইত্তেফাক, সারাবাংলা, ভোরের কাগজ, জাগো নিউজ২৪ ও বাংলাদেশ জার্নালের ফেসবুক পাতায়।